পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা কোরা 8 R লঙ্ঘন, বিধবার দশমীর রাত্রির জলযোগের পর নিরস্তু একাদশী এবং নিরন্থ একাদশীর পর দ্বাদশীর প্রাভাতিক জলযোগের ন্যায় সুখস্তানন্তরং দুঃখং দুঃখস্তানন্তরং সুখম। চক্ৰবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি চ সুখানি চ | যাহা হউক, শাস্ত্রার্থবোধে ও শাস্ত্রের নিদেশ-পালনেই আমার সমস্ত আধ্যাত্মিক শক্তি পৰ্য্যবসিত হইল না । শুভানুধ্যায়ী জ্যেঠা মহাশয়ের পুনঃ পুনঃ উত্তেজনায় পুণ্য-সঞ্চায়ের প্রবৃত্তি উত্তরোত্তর প্রবলতর হইতে লাগিল। অবশেষে তীর্থযাত্ৰা করিতে বদ্ধপরিকর হইলাম। ইংরেজী শিক্ষার প্রসাদাৎ তীর্থদর্শন, পূজা-অৰ্চা প্রভৃতিকে ঘোরতর কুসংস্কার বলিয়া মনে করিয়া আসিয়াছি। কথায়-কথায় যৌবনের প্রিয় কবির বাক্য উদ্ধত করিতাম,-“জপতপ আর দেব-আরাধনা, পূজা, হােম, যাগ, প্ৰতিমা-অৰ্চনা, এ সকলে এবে কিছুই হবে না।” ইংরেজী মেজাজের বশবৰ্ত্তী হইয়া কোন তীর্থক্ষেত্রে কখন পা দিই নাই। লম্বা ছুটি হইলে মধুপুর-শিমুলতলা বা পচম্বা-ঘাটশিলায় বায়ুসেবন করিয়াছি, দাৰ্জিলিংশিমলার শৈত্যাবাসে মাথা ঠাণ্ডা করিয়াছি, কিন্তু গয়া-কাশী-প্ৰয়াগ-হরিদ্বার তা দূরের কথা, বৈদ্যনাথ-তারকেশ্বর, এমন কি, কলিকাতার কাণের কাছে কালীঘাট পৰ্যন্ত কখন দর্শন করি নাই। এত কথায় কায কি, নদীয়া জেলার লোক হইয়াও কখন নবদ্বীপমুখে হই নাই। মহাপ্ৰসাদের প্ৰয়োজন হইলে কসাই-কালীর শরণ লইয়াছি, মালপূয়ার প্রয়োজন হইলে বঙ্গীয়া-মিষ্টান্ন-ভাণ্ডারে ছুটিয়াছি, তথাপি শক্তের পীঠে বা বৈষ্ণবের পাটে श्व छेि नांछे । কিন্তু এবার গুরুকৃপায় আমার সুবুদ্ধি হইল। ‘অজ্ঞান-তিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জনশলাকিয়া চক্ষুব্রহ্মীলিতম হইল, তীৰ্থপৰ্যটনে মতি হইল, স্বর্গের সোপান-প্ৰণয়নের প্রবৃত্তি জাগরিত হইল, গুরুর গুরু জ্যেঠা মহাশয়ের