পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°ळ् (८ 88 বড়ই বিস্ময় ও ক্ষোভের বিষয় যে, এত আয়াসলব্ধ মহাপ্ৰসাদ গৃহিণীর বহু চেষ্টায়ও তেমন সুসিদ্ধ হইল না। দেবীর প্রসাদ বলিয়া পিয়াজরািশুন না দেওয়াতেই এই অনর্থ ঘটিল, কি কলির প্রকোপে তীর্থমাহাত্ম্য লোপ পাইতে বসিয়াছে, সেইজন্যই পবিত্ৰ মহাপ্ৰসাদে এই দোষ স্পর্শ করিল,-ঠিক ঠাহরাইতে পারিলাম না। তীর্থদর্শনে প্ৰথম উদ্যমের ফল এরূপ হওয়াতে মনটা কিঞ্চিৎ কঁাচিয়া গেল । মা-কালীর একান্নপীঠের অন্যতম না হইলেও ‘পরমহংস শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণদেবে’র সাধনা ও সিদ্ধিলাভের স্থান বলিয়া দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ীর খ্যাতি আছে। এই কারণে কালীঘাট-দর্শনান্তে একবার উক্ত স্থান দেখিবার জন্য কৌতুহলী হইলাম। সস্ত্রীকে ধৰ্ম্মমাচরেৎ’ এই শাস্ত্রবচন স্মরণ করিয়া ( এবং রন্ধনেরও প্রয়োজন হইতে পারে এ কথাও বিবেচনা করিয়া) অন্নপূর্ণার অংশজাত গৃহিণীকেও সঙ্গে লইলাম। এ যাত্রা ট্র্যাম নহে, ষ্টীমার, অতএব যানেরও রকমফের হইল। জগন্নাথঘাটে ষ্টীমারে DD BBBDB D gDDDBDBDS A LDDBD BDBD BBBBD DBD ংশধর-নামিলাম এবং অবশিষ্ট অল্প পথ পদব্রজে গেলাম। গঙ্গাস্নান, কালী শিব ও রাধাকৃষ্ণ বিগ্ৰহ-দর্শন এবং পরমহংসদেবের পুণ্যস্মৃতির সহিত জড়িত পঞ্চবটী, পঞ্চমুণ্ডীর আসন প্ৰভৃতি পরিভ্রমণ করিয়া পরিতৃপ্ত হইলাম, স্থানের রমণীয়তা ও শান্তিময়ত হৃদয়ে অনুভব করিয়া আনন্দলাভ করিলাম। পুণ্যকীৰ্ত্তি রাণী রাসমণির আধুনিক উত্তরাধিকারিগণ ‘সদয়হাদয়-দৰ্শিতপশুঘাতমা হওয়াতে বলিদান রহিত হইয়াছে শুনিয়া হরিষে বিষাদ হইল বটে, কিন্তু সে বিষাদ অধিকক্ষণ স্থায়ী হইল না । কেন না, কালীবাড়ীর সংলগ্ন ঘাটে গঙ্গার টাটুকা ইলিশ কলিকাতা অপেক্ষা অল্প মূল্যে ক্রয় করিয়া সেই অমৃতসমান মাছভাজা গৃহিণীর প্রস্তুত খিচুড়িসহযোগে সেইখানেই ভোজন করিয়া স্থানমাহাত্ম্য আরও গভীর