পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা (द (ζο কাশীতে সে সব তীর্থ করে প্রত্যক্ষে বসতি ॥” “অথবা সৰ্ব্বক্ষেত্ৰাণি কাশ্যাং সন্তি নগোত্তম”—এ কথা স্বয়ং ভগবতী তঁহার পিতাকে বলিয়াছেন, মিথ্যা হইবার যে কি ? কেবল একটী বিষয়ে প্ৰথম প্ৰথম বড় ধোক লাগিত-বিশ্বেশ্বরিঅন্নপূর্ণর যুগল-মাহাত্ম্য-সত্ত্বেও কাশীর ইলিশ বিস্বাদ কেন বুঝিতাম না। ধ্যানস্থ হইয়া জানিলাম, গঙ্গা উত্তরবাহিনী হওয়াতে এই দোষ স্পর্শিয়াছে। কাশীর মহাপ্ৰসাদে অভক্তি প্ৰকাশ করাতে, একজন পেনশনভোগী কাশীবাসী বুদ্ধ বলিলেন, “বিন্ধ্যাচলে সুললিত ছাগমাংস সুলভ।” তিনি আরও বলিলেন,-“আমি পেনশন লইয়া প্রথম কয়েক বৎসর এই সুবিধার জন্য বিন্ধ্যাচলেই ছিলাম, ইদানীং দন্তাভাবে পুষ্পদন্তেশ্বরের আশ্রয় লাইয়াছি।” তাহার কথা শুনিয়া পরদিন প্ৰত্যুষেই মোটর-ট্রেনে বিন্ধ্যাচল রওনা হইলাম। তথায় যাইয়া গঙ্গাস্নান ও দেবীদর্শনান্তে চক্ষুঃ কর্ণেরশ্ৰীবিষ্ণু, জিহবাকর্ণের-বিবাদভঞ্জন করিলাম। বুঝিলাম, 'বৃদ্ধস্য বচনমা ভোজনকালেও “গ্রাহাম’। যোগমায়া, ভোগমায়া, বিন্ধ্যবাসিনী, অষ্টভুজা প্রভৃতি শক্তিমূৰ্ত্তির উপর যে কি পরিমাণ ভক্তির উদ্ৰেক হইল, তাহার বর্ণনা করা এই ক্ষুদ্র লেখনীর অসাধ্য। এখানে অনুদগতশৃঙ্গ ছাগবলি দেওয়ার প্রথাকে কোহ-কেহ অশাস্ত্রীয় বলিয়া নিন্দ করেন, কিন্তু কচি পাঠা যখন সমধিক মুখপ্রিয়, তখন দেবীর প্রত্যৰ্থ এরূপ বলিদান কেন নিন্দনীয় হইবে বুঝি না (বিশেষ, ভক্ত যখন পরে প্রসাদ পাইবেন)। কাশীতে থাকিতে ত্ৰিবেণীসঙ্গম প্ৰয়াগতীর্থের খুবই নাম-ডাক শুনিতাম। সুতরাং একবার সেখানেও গিয়াছিলাম। মস্তকামুণ্ডন, ত্ৰিবেণীস্নান, বেণীমাধব-দর্শন, সকলই করিলাম-কিন্তু আসল কাৰ্য্যে তেমন সুবিধা পাইলাম না। স্থানটি কাশীর এত নিকট, অথচ খাদ্যদ্রব্য-সম্বন্ধে