পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G বিবাহে বিবিধ বাধা আচমকা দেখিয়া যদি পত্নীর পরিবর্তে অন্য-কিছু-ভ্ৰমে আঁতকাইয়া উঠিতে হয়, তাহা হইলে বড় মুস্কিল বটে!” [ লোকগুলার কি আস্পদ্ধা ! ] কিন্তু এ সব নিষ্কারণ-বন্ধুর আলোচনায় আমি তুষ্টও হই নাই, রুষ্টও হই নাই। আমি শপথ করিয়া বলিতে পারি, আমার সাহসী-মায়বিক ও ‘নৈতিক’-উভয়ই যথেষ্ট, আমি অযাত্ৰাও মানি না, ভূতপেত্নীও মানি না। আর আমার রত্নগৰ্ভার গর্ভে যে হীরার টুকরা পুত্র না জন্মিয় মাটীর চিবি কন্যা জন্মিবে, এরূপ আশঙ্কাও আমার মনে স্থান পায় নাই। সুতরাং এ সব কথা সুবুদ্ধির মত হাসিয়া উড়াইয়া দিলাম। তবে আমি প্রকৃত কি কারণে সাকার সুন্দরী, ডানাকাটা পরী, স্বর্গের “অপসারী” বিদ্যাধরী, রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী’ চাহি, তাহা ‘প্ৰকাশ করিয়া” কহিতেছি। আপনার শুনিয়া নিরজন্ম সার্থক করুন। কাহিনী । শিশুকালে শৈশব-সুলভ চপলতার দোষে যখনই কোনরূপ বায়না ধরিয়া কান্না যুড়িয়া দিতাম, তখনই স্নেহময়ী মা, পিসি-মা, ঠাকু-মা প্ৰভৃতি ‘রাঙ্গা বীে আনিয়া দিব, তাহার সহিত খেলা করিবে,” এই বলিয়া শান্ত করিতেন। কৃষ্ণনামে যেমন শ্ৰী রাধার মূচ্ছি ভঙ্গ হইত, আমার তেমনই রাঙ্গা বৌ এর নামে ক্ৰন্দন থামিত। জানি না, সেই অজ্ঞান শিশুচিত্তে রাঙ্গা বৌ এর কি মোহিনী শক্তি অনুভূত হইত ! হয় ত গুরুজনের বাক্য বলিয়া এই স্তোকবাক্যে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিতাম, এমন কি, গুরুজনের আশীৰ্ব্বাদ অবশ্যই ফলিবে, এ আশাও মনে-মনে পোষণ করিতাম। তবে তখনকার মনের ভাব এখন এ বয়সে ঠিক স্মরণ করিতে পারিতেছি না । সকলেই ত কুপার, ওয়ার্ডসওয়ার্থ বা রবীন্দ্রনাথ নহে। যাহা হউক, এইরূপে ‘সুকুমার শিশুকাল শিক্ষার সময় অতিবাহিত করিলাম। :