পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Նֆ दिवांछ् दिदिक्ष वांक्ष সৌন্দৰ্য্য-পিপাসা আরও বদ্ধিত হইল। শৈশবে যাহা অঙ্কুরিত হইয়াছিল, প্রথম-যৌবনে তাহা পল্লবিত হইতে লাগিল। যাক, এ সব বাজে বই ও বাজে কায লইয়া আর বাগাড়ম্বর করিব না। বাহিরের উপসর্গ ছাড়িয়া দিয়া, খাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকগুলির ধাতু কিরূপে আমার প্রকৃতিতে মিশিল, এক্ষণে সেই কথা বলি। বলা বাহুল্য, পরীক্ষা পাশ করিবার প্রয়োজনে ও প্রলোভনে যে সকল সাহিত্যগ্ৰন্থ প্ৰাণপণে আয়ত্ত করিবার প্রয়াস পাইয়াছি ও প্রোফেসারের পদপ্রান্তে বসিয়া সরস ব্যাখ্যাবিবৃতিসহ অধ্যয়ন করিয়াছি, সেগুলির মৰ্ম্ম অস্থিতে-অস্থিতে মজ্জায়-মজ্জায় প্রবেশ করিয়াছে। প্রথম-যৌবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড় পাইয়া যে সকল মনোমোহিনী মূৰ্ত্তি হৃদয়ের দ্বার দিয়া ‘প্রাণের প্রাণ-মােঝারে প্রবেশ করিয়াছে, যাহাদিগের স্মৃতি উজ্জলে-মধুরে মিশিয়া, শয়নে-স্বপনে-জাগরণে, পাঠাগারে-পরীক্ষামন্দিরে, শৌচাগারেজলখাবারের ঘরে, ছাত্রাবাসে-ক্রীড়াঙ্গনে ছায়ার মত haunt করিয়াছে, যাহাদিগের ‘প্ৰতিবিম্ব চিত্তপটে চিরাঙ্কিত’ রহিয়াছে, সেগুলিকে “ভোলা যায় কি কথার কথা ? ? প্ৰাণ যারা প্ৰাণে গাথা । শুকাইলে তরু কভু ছাড়ে কি জড়িতা লতা।” এখন বহুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও পরীক্ষা শেষ হইয়াছে, পাঠ্যপুস্তকগুলি কতক বিলাইয়া দিয়াছি, কতক বিক্রয় করিয়াছি, অধ্যাপকের মৌখিক বক্ততা ও ব্ল্যাক-বাের্ডে লিখিত লম্বা-লম্ব নােট, প্ৰকাণ্ডকায় অর্থপুস্তক ও প্রশ্নোত্তরমালা, রাত্রি জাগরণ করিয়া পাঠ কণ্ঠস্থ করা, পরীক্ষাফলের জন্য উৎকণ্ঠা, সংবাদপত্রে পরীক্ষার ফল-প্ৰকাশ, পাশের আনন্দ,-সবই অতীতের গর্ভে লীন হইয়াছে, সে সকলের স্মৃতি ক্ষীণ। হইয়া আসিতেছে। কিন্তু পঠদ্দশায় পাঠ্যপুস্তকের মারফত যে সব আদর্শ ।