পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিষবৃক্ষের উপবৃক্ষ টিকে দুই হস্ত দ্বারা কোলে তুলিলেন, ক্ষীণ দেহব্যষ্টি সহজেই তীরে আনিতে পারিলেন। একটা পরিষ্কৃত স্থানে শব রক্ষা করিয়া তিনি তৎপার্শ্বে উপবেশন করিলেন। বসিয়া বসিয়া, অনেকক্ষণ ধরিয়া, অনিমিক্‌ লোচনে সেই অনিন্দ্যসুন্দর মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। পরীক্ষণেই, কেন জানি না,-একটি ছোট্ট দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিলেন। তাহার পর, অনেক ইতস্ততঃ করিয়া, চারিদিক চাহিয়া, কেহ কোথাও আছে কিনা একবার ভাল করিয়া দেখিয়া লইয়া, শেষে আস্তে আস্তে সেই মুখখানির কাছে, অতি কাছে, মুখ আনিয়া, অধরে ধীরে ধীরে একটি চুম্বন মুদ্রিত করিলেন । বৰ্ত্তমান ‘গ্রন্থকার প্রাচীন’ না হইলেও চল্লিশ পার হইয়াছেন, সুতরাং চক্ষুলজার মাথা খাইয়াছেন, “লিখিতে লজ্জা নাই, ভরশা করি মার্জিতরুচি নবীন পাঠক এইখানে এ বই পড়া বন্ধ করিবেন।” এই আকস্মিক উত্তেজনা অন্তহিত হইলে, সন্ন্যাসী প্ৰকৃতিস্থ হইয়া ‘সেই শবের নিকট বসিলেন, বসিয়া কপোলে করলগ্ন করিয়া অনেকক্ষণ ভাবিলেন । মাথায়, বগলে, হাতে, পায়ে হাত দিয়া দেখিলেন ; অনেক প্ৰকার অপরের অপরিজ্ঞাত পরীক্ষা করিলেন। তখন মনে মনে বলিলেন, এখনও সময় আছে।” তখন তিনি স্কন্ধ হইতে ঝুলিটি নামাইয়া ঝুলির ভিতর হইতে একটি Stomach pump दांश्द्रि করিলেন এবং श्थांौऊि বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীতে নানারূপ অদ্ভুত প্রক্রিয়া আরম্ভ করিলেন। ‘এইরূপ করিতে করিতে র্তাহার মুখ কিছু প্ৰফুল্প হইল।” [ বঙ্কিমচন্দ্রের সময় এই বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের ততটা রেওয়াজ ছিল না, তাই “আনন্দমঠে” বা “কৃষ্ণকাস্তের উইলে’ ইহার উল্লেখ নাই । ] বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের গুণেই হউক আর সন্ন্যাসীর হাতসাফাইএর ফলেই | হউক, [ অথবা কুন্দর অদৃষ্ট আরও ভোগ আছে বলিয়াই হউক ], ক্ৰমে । মৃতদেহে চেতনার লক্ষণ প্ৰকাশ পাইতে লাগিল। প্ৰথমে হৃদয়ের ঈষৎ