পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা ঝোরা R পছন্দ করিয়াছেন। আমরাও “মহাজনো যেন গত: স পন্থাঃ” এই নীতির অনুসরণ করিলাম । কেহ কেহ এমন উপাদেয় বস্তুকে গ্ৰাম্য নামে নির্দেশ করিতে কুষ্ঠিত হইয়া-( বিলাতী tobaccoর সঙ্গে সকল সম্পর্ক রহিত করিবার অভিপ্ৰায়ে ? )—“তাম্রকুট” এই সংস্কৃতায়িত শব্দটি উদ্ভাবন করিয়াছেন। অবশ্য ( মোরগ ) ‘তাম্রচূড়ে’র সঙ্গে ইহার কোন সম্বন্ধ নাই। অনুমান হয়, ‘তামরস” (পদ্ম) ও ‘কালকূট’ (বিষ)৷ এই উভয় শব্দের সমন্বয় করিয়া কোন রসিক চূড়ামণি এবংবিধ নামকরণ করিয়াছিলেন—অর্থাৎ দ্রব্যটি পদ্মমধু নহে, পদ্মবিষ (*) যেমন মিঠেকড়া তামাকু সুখসেব্য, তেমনই এই মিঠেকড়া নামটিও সুভব্য বলিয়া বিবেচিত হওয়া বিচিত্র নহে। যাহা হউক, শব্দশক্তি-প্ৰকাশিকা বা ব্যাকরণ-বিভীষিকা লইয়া নাড়াচাড়া করিব না । সে মায়া কাটাইয়াছি, আর সে জালে ধরা দিব না। এক্ষণে প্ৰকৃত অনুসরণ করি । 响 জগতে ধৰ্ম্মও যেমন বহু, নেশাও তেমনই বহু । সকল ধৰ্ম্মই যেমন একই আনন্দস্বরূপের সন্ধান মিলায়, সকল নেশাও তেমনই একই আনন্দস্বরূপের সন্ধান মিলায়। সকল ধৰ্ম্মেরই যেমন গোড়া আছে, সকল নেশারও তেমনই গােঁড়া আছে। তামাকু-সেবী যেমন বলেন—“গুডুকে গম্ভীরবুদ্ধি”, তেমনই সিদ্ধি-সেবী অর্থাৎ ভাং-খোর(৩) বলেন-“সিদ্ধি খেলে বুদ্ধি বাড়ে”, গাঁজাখোর বলেন—“নেশার রাজা গাঁজা”, “গাজা তোর পাতায় পাতায় রস ।” তাই তিনি আদর করিয়া তাহার আরাধ্যদেবকে “তুরিতানিন্দ’ নাম দিয়াছেন। গুলিখোর তাহার প্ৰিয়নিকেতনকে ‘মুক্তি (২) এইজন্যই কি 'বিষবৃক্ষে ঘন ঘন তামাকুর কথা আছে ? (৩) ভাংখ্যোর ও ভাঙ্গোর কি একই ? সদাশিব জানেন।