পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা বোরা 78 ফলপ্ৰদ তেজস্কর ঔষধ, সবই রাখিলাম। যখন পরোপকার-ব্ৰত গ্ৰহণ করিলাম, তখন হয় ত পরোপকারে এ সকলেরও প্রয়োজন হইতে পারে, এই মনে করিয়া কিছুই ছাড়িলাম না। আজ দেখিতেছি ঠিকই করিয়াছিলাম। এ সব সঙ্গে না থাকিলে ত তোমায় বঁাচাইতে পারিতাম না, কুন্দ !” সন্ন্যাসী শেষ কথাগুলি এমন করুণ কোমল স্বরে উচ্চারণ করিলেন যে, কুন্দ একেবারে গলিয়া গেল। সন্ন্যাসী কি করিয়া তাহার নাম জানিলেন, এ কথা একবারও কুন্দর মনে উদয় হইল না । কিছুক্ষণ উভয়েই নীরব। তাহার পর, একটু সামলাইয়া, দুই একটা ঢোক গিলিয়া, গলাটা একটু ঝাড়িয়া, কুন্দর মুখপানে কাতর দৃষ্টিতে চাহিয়া, সন্ন্যাসী ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসা করিলেন,-“কুন্দ, তোমার স্বামীকে মনে পড়ে ?” কুন্দ লজ্জায় জড়সড় হইয়া মৃদুস্বরে উত্তর করিল,—“কোন স্বামীকে প্ৰভু ? আপনাকে ত সব কথাই বলিয়াছি। আর কেন আমাকে মিছামিছি লজ্জা দেন ?” এই বলিয়া কুন্দ ‘দুই চক্ষে হাত দিয়া কঁাদিতে লাগিল ।” সন্ন্যাসী একটু সমজাইয়া, একটু অপেক্ষা করিয়া, বলিলেন,- “তোমার প্রথম পক্ষের স্বামীর কথাই জিজ্ঞাসা করিতেছি । তিনি কি তোমায় ভালবাসিতেন না ?” সন্ন্যাসীর কথা না ফুরাইতেই কুন্দ বলিল--“কুন্দ আজ বড় মুখরা”- “ভাল মনে নাই। স্বপ্নদৃষ্ট মানুষের ন্যায় অল্প অল্প মনে পড়ে। আর কয়দিনই বা তঁহার সঙ্গলাভ করিয়াছিলাম ? তিনি ত প্ৰায়ই বাহিরে বাহিরে থাকিতেন। যখন ঘরে আসিতেন, তখনও প্রকৃতিস্থ থাকিতেন ণয়ের বিষয় আমার সঙ্গে