পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゲ(2 বিষবৃক্ষের উপবৃক্ষ তাহার কতদূর ছিল, বলিতে পারি না ; কিন্তু একটা পোষা বানরীর সঙ্গে একটু একটু ছিল।” ” সন্ন্যাসী মুখ বিকৃত করিলেন। কুন্দ ভাবিল, সন্ন্যাসী তাহার ব্যবহারে বিরক্ত হইয়াছেন। সে একটু যেন অপ্ৰতিভ-ভাবে বলিল,— “প্ৰভু, জানি পতিনিন্দ পাপ। কিন্তু—” সন্ন্যাসী তাহাকে বাধা দিয়া বলিলেন,-“আচ্ছা, কুন্দ, আর একটি কথা জিজ্ঞাসা করি। লজ্জা করিও না, দ্বিধাবোধ করিও না, স্বরূপ বল । তোমার প্রথম পক্ষের স্বামীকে যদি ফিরিয়া পাও তাহা হইলে তঁহাকে গ্ৰহণ করা কি ?” কুন্দ সন্ন্যাসীর স্কন্ধে মুখ রাখিয়া বালিকার মত বহুক্ষণ রোদন করিল। “ইহাতে যন্ত্রণার অনেক উপশম হইল। যে শোকের রোদন নাই, সে यभद्रं लूऊ ॥’ সন্ন্যাসী বলিলেন,-“বুঝিয়াছি, আজও নগেন্দ্রনাথকে ভুলিতে পার নাই। না বুঝিয়া তোমার মনে ব্যথা দিলাম। নিভান অনল জ্বালিয়া দিলাম। অপরাধ লইও না । তবে একটা কথা বলিয়া রাখি। নগেন্দ্ৰনাথের প্রতি তোমার যে ভালবাসা তাহা আশ্রয়দাতার নিকট আশ্ৰয়হীনার কৃতজ্ঞতা ; তুমি সংসার-অনভিজ্ঞা বালিকা, তাই কৃতজ্ঞতাকে প্ৰণয় বলিয়া ভ্ৰম করিয়াছিলে। কৃতজ্ঞতা প্ৰণয় নহে। তাহা যদি হইত, তবে রজনী অবশ্যই অমরনাথের প্রতি প্ৰণয়শালিনী হইত। আমার এই কথাটি প্ৰণিধান করিও।” [ সন্ন্যাসী ঠাকুরের দেখিতেছি । বঙ্কিম-গ্ৰন্থাবলীও বেশ পড়া ছিল। ] ) কুন্দ এবার একটু জোর গলা করিয়া বলিল,-“না প্ৰভু, আপনি উণ্টা বুঝিলেন। মনে করিয়াছিলাম, “আপনি কামচার না। অন্তৰ্য্যামী ?” “এতক্ষণে জানিলাম। আপনি অন্তৰ্য্যামী নহেন।” আমি আর আমার