পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাগলা বোর so ळेिश्टिङ বসিয়াছি । দেখি, সহিত্যের হাটে বিকায় কি না । [ এ সবও আজকাল না কি বড় বড় সম্পাদকেরা পয়সা দিয়া কেনেন । ] যে সময়ের কথা বলিতেছি, সে সময়ে যদি কোন সুযোগে কলিকাতায় আসা ঘটিত, তাহা হইলে রাজ্যের জিনিশ কিনিয়া লইয়া যাইবার বরাত পড়িত। নিজেদের দরকারী জিনিশ ত কিনিতে হইতই, সঙ্গে-সঙ্গে পাড়াপাড়শীদিগের হরেক রকম ফরমা এশ থাকিত। গৃহিণীগণের কঁথা সেলাইএর মোটা সুচা হইতে সঁাচ্চার সূক্ষ্ম-কাব্য-করা জ্যাকেট পৰ্য্যন্ত DBDDD BD DDBD BBSS DBB DD DBDBD BBDBDD gSDuuSBB কিনিয়া মেডিক্যাল কলেজের সামনে হুকার দোকানে কলিহুকা কিনিতেছি, এমন সময়ে বন্ধু বলিলেন, “এইখানে বঙ্কিমবাবু থাকেন।” ( বন্ধুবর কলিকাতা-ঘাটা । ) আমি তখন মফস্বলে একখানি খবরের কাগজ চালাই—“অকুতো সাহস’ । বন্ধুকে তৎক্ষণাৎ বলিলাম, ‘চল, বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে আলাপ করিয়া আসি।” যে কথা, সেই কাব্য। হুক হাতে করিয়াই মহাপুরুষ-দর্শনে গেলাম। তিনি আমাদের পরিচয় পাইয়া গম্ভীরমুখে উপরের বৈঠকখানায় বসাইলেন(২) এবং আমাদের হুক হাতে দেখিয়া একটু হাসিয়া বলিলেন,-“বামাল-সমেত যখন দেখিতেছি, তখন আপনাদের অবশ্যই তামাকু অভ্যাস আছে।” এই বলিয়া চাকরকে তামাকু দিতে হুকুম দিলেন। আমি তাড়াতাড়ি বলিলাম, ‘আজ্ঞে, ও অভ্যাস নাই। হুকাটি পিতৃদেবের জন্য কিনিয়াছি।” সঙ্গে-সঙ্গে একটু রসিকতার প্রয়াস করিয়া বলিলাম যে, “পিতৃদেব যেরূপ তামাকুসেবন করেন, তাহাতে আমাদের তিন পুরুষ না খাইলেও সেই ধোঁয়াতেই বেশ চলিয়া যাইবে।” (২) বৈঠকখানার বর্ণনা ও নায়কের রূপবর্ণনা করিয়া অনর্থক পুথি বাড়াইলাম না । এসব আগেই সাহিত্যের বাজারে বাহির হইয়া গিয়াছে।