পাতা:পাগলা ঝোরা - ললিতকুমার শর্ম্মা.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ांवों (दांब्रां NR র্তাহার চক্ষুঃ মুদ্রিত, "নাসারন্ধ, বিস্ফারিত’, ভ্ৰ আকুঞ্চিত, ও এক হস্ত মুষ্টিবদ্ধ থাকিত। তখন মনে হইত, যেন সাক্ষাৎ ধ্যানী বুদ্ধ সন্দর্শন করিতেছি। এ আমার চোখের দেখা, অবিশ্বাস করিলে চলিবে না। যাক, এক্ষণে র্তাহার সহিত কথালাপের বিবরণ দিই। বঙ্কিমবাবু আমার সহিত আলাপে জানিলেন, আমি মফস্বলে একখানি কাগজ চালাই। কাগজের নাম "মুগুর” শুনিয়া তিনি একটু হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “অভিধানে এত ভাল-ভাল শব্দ থাকিতে এরূপ অদ্ভুত নামকরণ কেন আমি সপ্ৰতিভ-ভাবে বলিলাম, “ভবৎপ্ৰসাদাৎ । ‘বঙ্ক দর্শনে’ আপনার “টেকি’ দেখিয়া আমি এই নাম পছন্দ করিয়াছি। যদি বড় লেখকের প্ৰকাণ্ড টেকি সাহিত্যের আসরে চলে, তবে আমার মত ক্ষুদ্র লেখকের ক্ষুদ্র মুগুরই কি অচল থাকিবে ?” কথাটা শুনিয়া, কি জানি কেন, বঙ্কিমবাবু অকস্মাৎ গভীর হইলেন। যাহা হউক, একটু পরে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনার কাগজের কাটুতি কেমন?” আমি বিনীতভাবে বলিলাম, “আজ্ঞে, যে সংখ্যায় গালাগালি থাকে, তাহা দুইবারও ছাপিতে হয়, এত খরিদদারের ভিড় হয় ; কিন্তু যে সংখ্যায় তাহ থাকে না, সে সংখ্যা একেবারেই বিক্ৰী হয় না।” তিনি একটু মুচকি হাসিয়া বলিলেন, “এ ত বড় মুস্কিলের কথা।” আমি চট্ৰ করিয়া বলিয়া ফেলিলাম, “আজ্ঞে, সেই মুস্কিল-আসানের জন্যই ত আপনার কাছে আসা। গালাগালিতে কাগজ ভাল চলে, তাহা বেশ জানি,-যেমন ঝাল-ঝাল তারকারী হইলে ভাত উঠে অনেক। কিন্তু কাহাকে, কখন, কি ভাবে। গালাগালি দিই, তাহা ঠিক পাই না । [পাঠকবর্গ মনে রাখিবেন, আমি তখন এ কাৰ্য্যে নূতন ব্ৰতী। তখনও হাতের আড় ভাঙ্গে নাই, চক্ষুলজ্জা, লঘুগুরু-জ্ঞান প্রভৃতি কুসংস্কার একেবারে বর্জন করিতে শিখি নাই। ] আর এক-এক সময়ে গালাগালি দিয়া বিপদেও পড়িয়াছি। আমি ছাড়ি