পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বলণ্টিন্ জামিরে ডুবাল।

লিত লীগ অর্থাৎ সার্দ্ধক্রোশের চিহ্ন বোধ করিয়াছিলেন। পরন্তু সাম্পেন হইতে লোরেনে আসিতে ঐরূপ অনেক লীগ অতিক্রম করিতে হইয়াছে, কিন্তু ভূচিত্রে উহাদিগের, অন্তর অতি অল্প লক্ষ্য হইতেছে, এই বিবেচনা করিয়া সেই প্রথম সিদ্ধান্ত ভুল বলিয়া স্থির করিলেন। যাহা হউক, এই ভূচিত্র ও অন্য অন্য ভূচিত্র সকল অভিনিবেশ পূর্ব্বক পাঠ করিয়া ক্রমে ক্রমে কেবল ঐ সকল চিহ্নেরই স্বরূপ ও তাৎপর্য্য সূক্ষ্মানুসূক্ষরূপে নির্দ্ধারিত করিলেন এমন নহে, ভূগোলবিদ্যাসংক্রান্ত প্রায় সমুদায় সংজ্ঞা ও সঙ্কেতের মর্ম্মগ্রহ করিতে পারিলেন।

 ডুবাল এইরূপে গাঢ়তর অনুরাগ ও অভিনিবেশ সহকারে অধ্যয়ন করিতে লাগিলেন। কিন্তু অন্যান্য কৃষীৰল বালকেরা অত্যন্ত ব্যাঘাত জন্মইতে আরম্ভ করিল। অতএব তিনি বিজন স্থান লাভের নিমিত্ত নিতান্ত উৎসুক হইলেন। এক দিবস ঘটনাক্রমে ডিনিয়ুবরের নিকটে এক আশ্রম দর্শন করিয়া এমন প্রীতি প্রাপ্ত হইলেন যে তৎক্ষণাৎ মনে মনে সঙ্কল্প করিলেন যে, তত্রত্য তপস্বী পালিমানের অনুবর্ত্তী হইয়া ধর্ম্ম চিন্তা বিষয়ে কিঞ্চিং কিঞ্চিৎ মনোনিবেশ করিব। অনন্তর তপস্বী মহাশয়কে আপন প্রার্থনা জানাইলেন। পালিমান অনুগ্রহ প্রদর্শন পূর্ব্বক তাঁহার প্রার্থিত বিষয়ে সম্মত হইলেন এবং আপন অধিকারে এক পদ শূন্য ছিল, তাহাতে তাঁহাকে নিযুক্ত করলেন। কিন্তু অনতিচিরকাল মধ্যেই পালিমানের কর্ত্তৃপক্ষীয়েরা ঐ পদে অন্য ব্যক্তিকে নিযুক্ত করিয়া পাঠাইলেন।

 লুনিবিলের প্রায় পাদোন ক্রোশ অন্তরে, সেণ্ট এন নামে এক আশ্রম ছিল, তথায় কতকগুলি তপস্বী বাস করিতেন। পালিমান, সাধ্যানুসারে ডুবালের ক্ষোভ শান্তি করিবার নিমিত্ত, তাঁহাদিগের আশ্রমে তাঁহাকে এক অনুরোধ পত্র সমেত পাঠাইয়া দিলেন। সেই সতীর্থ তপস্বীদিগের আজীবনস্বরূপ যে ছয়টি