পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬
বলণ্টিন্ জামিরে ডুবাল।

অত্যুন্নত ওকবৃক্ষশিখরোপরি বন্যদ্রাক্ষা ও উইলোশাখার পরষ্পর সংযোজন করিয়া সারসকুলায়সন্নিত এক প্রকার বসিবার স্থান নির্ম্মাণ করিলেন।

 ডুবালের ক্রমে ক্রমে যত জ্ঞান বৃদ্ধি হইতে লাগিল, কিন্তু পুস্তক বিষয়েও তত আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল; কিন্তু পুস্তক ক্রয়ের যে নির্দ্ধারিত উপায় ছিল, তাহার সেরূপ বৃদ্ধ হইল না। অতএব তিনি আয় বৃদ্ধি করিবার নিমিত্ত ফাঁদ পাতিয়া জন্তু ধয়িতে আরম্ভ কৰিলেন ও কিছু দিন এই ব্যবসায় দ্বারা কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ লাভও করিতে লাগিলেন। আয় বৃদ্ধি সম্পাদন নিমিত্ত, কখন কখন তিনি দুঃসাহসিক ব্যাপারেও প্রবৃত্ত হইতে পরাঙ্মুখ হইতেন না।

 একদা তিনি কানন মধ্যে ভ্রমণ করিতে করিতে বৃক্ষোপরি এক অতি চিক্কণলোমা অৱণ্য মার্জ্জার অবলোকন করিলেন। উহা অনেক উপকারে আসিবে এই বিবেচনা করিয়া তৎক্ষণাৎ বৃক্ষোপরি আরোহণ পূর্ব্বক অতি দীর্য যষ্টি দ্বারা মার্জ্জারকে অধিষ্ঠানশাখা হইতে অবর্তীণ করাইলেন। বিড়াল দৌড়িতে আরম্ভ করিল। তিনিও পশ্চাৎ পশ্চাৎ ধাবমান হইলেন। উহা এক তরুকোটরে প্রবেশ করিল। পরে তথা হইতে ত্বরায় নিষ্কাশিত করিবামাত্র তাঁহার হস্তোপরি ঝাঁপিয়া পড়িল। অনন্তর উভয়ের ঘোরতর যুদ্ধ আরম্ভ হইলে, কুপিত বিড়াল তাঁহার মস্তকের পশ্চাদ্ভাগে নখ প্রহার কৱিল। ডুবাল তথাপি উহাকে টানিতে লাগিলেন। বিড়াল আরও শক্ত করিয়া ধরিল; পরিশেষে খন্ন নখর দ্বারা চর্ম্মের যত দুর আক্রমণ করিয়াছিল প্রায় সমুদায় অংশ উঠাইয়া লইল। অনন্তর ডুবাল নিকটবর্ত্তী বৃক্ষোপরি বারবার আঘাত করিয়া মার্জ্জারের প্রাণসংহার করলেন এবং হর্ষোৎফুল্ললোচনে উহাকে গৃহে অনিলেন। আর ইহা দ্বারা প্রয়োজনোপযোগী কিছু কিছু পুস্তক সংগ্রহ