পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা
৪৩

করিয়া আমার নিকটে লইয়া আইসেন। আমি ইত্যকাশে তপস্বিদর্শনযোগ্য এদেশে গিয়া রীতিমত অবস্থিতি করিতেছি।

 এই আদেশ দিয়া কধুকাকে বিদায় করিয়া, রাজা অগ্নিগৃহে অবস্থিতি করিলেন এবং কহিতে লাগিলেন ভগবান কণ কি নিমিত্ত আমার নিকট ঋষি প্রেরণ করিলেন? কি ঠাহাদের তপসারি বিশ্ব ঘটিয়াছে? কি কোন দুরাত্মা তাহাদের উপর কোন প্রকার অত্যাচার করিয়াছে? কিছুই নর্ণয় কম্নিতে না পায়। ন অত্যন্ত আকুল হইতেছে! তখন পাশ্ববনি পরিচান্ত্রিক ফহিল মহারাজ! তার বোধ হইতেছে, ধৰ্মাণৰাম স্বর। মহারাতের অধিকারে নিৰ্কি ও নিরাকুল চিত্তে তপস্যা অনুফান করিতেছেন, এই হেতু প্রতি হইয়া মহাৰাজকে ধন্যবাদ দিতে ও আশীৰ্বান করিতে আসিয়াছেন।

 এবম্প্রকার কথোপকথন হইতেছে, এমন সময়ে সোমত, তপস্বীদিগকে সমভিব্যাহায়ে করিয়া, উপস্থিত হইলেন। বাজা, দূর হইতে দেখিতে পাইয়া ভাসিন তে গদ্রোথান করিয়া তাহাদের আগমন প্রতীক্ষায় দায়মান মুহিলেন। তখন সেমিরাত তপস্বীদাকে কহিলেন ঐ দেখনি, সসাগরা সাপ গর্তর অদ্বিতীয় অধিপতি, আসন পবিতাগা পূর্ব্বক দণ্ডায়মান ইয়া, আপনাদের প্রতীক্ষা করিতেছেন। শায়ব কহিলে, ম পতিদিগের এরূপ বিনয় ও সৌজন্য দেখিলে অতিশয় এত হইতে হয় ও অত্যন্ত প্রশংসা করিতে ও সাধুবাদ দিতে হয়। অথক। ইহার বিচিত্র কি-রুগণ ফলিত হইলে কল ৩রে অবনত হইয়া থাকে। বর্ষাকালীন জলধরগণ বারিভরে নম্রভাবই অবলম্বন করে; সৎপুরুষদিগেরও প্রথা এই, সব্ধিশালী হইলে অমুদ্ধতম্বভাবই হয়েন।

 শকুন্তলার দক্ষিণ চক্ষু স্পন্দন হইতে লাগিল। তদ্দর্শনে