পাতা:পাঠসার.djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণী ভবানী । ১১ ৭ নামে রাজা রামজীবনের এক অতি বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান কৰ্ম্মচারী ছিলেন। বুদ্ধি ও চরিত্রগুণে সামান্ত ভূত্যের অবস্থা হইতে উন্নত হইয়া, দয়ারাম নাটোর-রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী হন । রামজীবন দয়ারামকেই রামকাস্তের অভিভাবক করিয়া যান। কুপ্রবৃত্তির সহচরদিগের পরামশক্রমে রামকান্ত দয়ারামকে তাড়াইয়া দিয়া, কুকার্য্যে অধিকতর নিমগ্ন হইতে লাগিলেন । দয়ারাম বড় হিতৈষী কৰ্ম্মচারী ছিলেন । বুদ্ধিমতী ভবানী দয়ারামকে চিনিতে পারিয়াছিলেন ; তাই দয়ারামের পুনগ্রহণের জন্ত অনেক অনুনয় করিতে লাগিলেন । কিন্তু রামকান্ত কিছুই শুনিলেন না । দুঃখে পড়িলে চরিত্র সংশোধিত হইবে বিশ্বাসে, দয়ারাম ভাবিলেন যে, কিছুকালের জন্য রাজ্যচু্যত করিয়া রামকান্তকে সৎপথে আনয়ন করিবেন । বাঙ্গালার তৎকালীন নবাব আলিবর্দি খাঁর নিকট যাইয়া দয়ারাম বলিলেন যে, রাজা রামকান্ত বিপুল ধন কুকার্য্যে উড়াইয়া দিতেছেন, অথচ নবাবের প্রাপ্য রাজস্ব আদায় করিতেছেন না । এই কথা শুনিয়া নবাব রামকাস্তকে রাজ্যচু্যত করিয়া, দেবীপ্রসাদ রায় নামক এক ব্যক্তিকে রাজ্য দান করিলেন । রাজ্যচু্যত হইয়া রামকান্ত পত্নীসহ, নবাবের ধনাধ্যক্ষ জগৎ শেঠের আশ্রয় লইলেন । র্তাহার কুকাৰ্য্যের সহচর