এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ ও রাম-বনবাস । X > রাজা দশরথ ক্ষমতাশালী নরপতি ছিলেন । রাম, লক্ষ্মণ, ভরত ও শক্রস্ত্র নামে দশরথের চারি পুত্র জন্মগ্রহণ করে । সৰ্ব্ব জ্যেষ্ঠ রাম সৰ্ব্বগুণসম্পন্ন হইয়াছিলেন । রামচন্দ্ৰ বুদ্ধিমান, সাহসী ও মুচরিত্র হইয়া প্রজাবর্গের বড় প্রিয় হইয়া উঠিয়াছিলেন । বশিষ্ঠ নামক পুণ্যবান ঋষির নিকটে রামচন্দ্র ধৰ্ম্ম ও রাজনীতির উপদেশ লাভ করিয়াছিলেন । বশিষ্ঠের উপদেশ সকল গ্রন্থাকারে নিবদ্ধ হইয়াছে, তাহাকে যোগবাশিষ্ঠ কহে । যোগবশিষ্ঠ অতি উপাদেয় গ্রন্থ । বাল্যকালেই রামচন্দ্র বিচক্ষণ বীরপুরুষ ও ধনুৰ্ব্বিদ্যায় পারদর্শী হইলেন । মিথিলা নগরের অধিপতি রাজা জনক পরম ধাৰ্ম্মিক ছিলেন । রাজা জনক এইরূপ সংকল্প করিয়াছিলেন যে, একখানি প্রকাও ধনুকে যে বীরপুরুষ গুণ-যোজনা করিতে পারিবেন, জনকদুহিতা সীতা তাহাকেই পতিত্বে বরণ করিবেন । রামচন্দ্র অসীম বল প্রকাশ করিয়া গুণারোপকরণচ্ছলে সেই প্রকাও ধনু দ্বিখণ্ড করিয়া ভগ্ন করিয়া ফেলিয়াছিলেন । তাহাতেই সীতা পরমাদরে রামচন্দ্রকে পতিত্বে বরণ করেন । বয়োৱদ্ধ রাজা দশরথ, রামচন্দ্রকে রাজ্যে অভিষিক্ত করিয়া, অবসর গ্রহণ করিতে অভিলাষী হইয়াছিলেন :