>○8 পাঠসাব । বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে তিনি এক জন প্রধান উদ্যোগী ছিলেন । এত বড় লোক হইয়া ও রামমোহন নিরভিমান ছিলেন । তাহার উদারতারও সীমা ছিল না । ছোট বড় সকল কেই তিনি সমান যত্ন করিতেন । একবার বদ্ধমানের রাজা তেজচন্দ্র বাহাদুর ও অপর একজন ভদ্রলোক, এক সময়ে তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে আইসেন , তিনি উভয়কেই সমান আদরে গ্রহণ করিয়াছিলেন । তাহার অস্তঃকরণ প্রকৃত মহত্ত্বে পূর্ণ ছিল ; তাই তিনি কখনও কোন বড় লোকের তোমামোদ করিতেন না । একবার ভারতবর্ষের তাৎকালিক রাজ প্রতিনিধি লর্ড বেণ্টিঙ্ক র্তাহাকে ডাকাইয়াছিলেন । তিনি নিজ কর্তব্য কাৰ্য্য ফেলিয়া তথায় গেলেন না দেখিয়া, মহাত্মা বেণ্টিস্কই তাহার সঙ্গে আসিয়া সাক্ষাৎ করিলেন । জ্ঞান ও ধৰ্ম্মবলে তিনি প্রায় শোক ও মোহের অতীত স্থানে অবস্থিতি করিতেন । দূর হইতে পত্নীর মৃত্যুসংবাদ আসিলে তিনি, তাহার নিজের রচিত—“মনে কর শেষের সে দিন ভয়ঙ্কর’—পদ-প্রমুখ গান গাইতে লাগিলেন । রামমোহন রায়ের বৈরাগ্য বিষয়ক গীত শ্রবণ করিলে পাষণ্ডের প্রাণও বিগলিত হয় । ১৮৩০ খ্ৰীষ্টাব্দে দিল্লির বাদসাহের দৌত্যকাৰ্য্য লইয়া
পাতা:পাঠসার.djvu/১৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।