এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, ४२ পীঠসায় । ঘটনাক্রমে সেই শুভ কার্য্যে বিঘ্ন উপস্থিত হইয়া, পরে অনেক বিভ্ৰাট ঘটিয়াছিল। রামায়ণে সেই সকল বিষয়ের সবিস্তার বর্ণনা আছে । আমরা সংক্ষেপে তাহার কোন কোন ঘটনার উল্লেখ করিতেছি। যুবরাজ রামচন্দ্র রাজা হইবেন শুনিয়া, প্ৰজাবৰ্গ অতি আশ্বস্ত ও রাজপুরবাসীরা যারপরনাই হর্ষযুক্ত হইল । কিন্তু রামচন্দ্রের বিমাতা কৈকেয়ীর চক্রাস্তে রামচন্দ্র রাজা হওয়া দূরে থাকুক, দুঃখীর বেশ ধারণ করিয়া বনবাসী হইলেন । রাজা দশরথ একবার বিস্ফোটকগ্রস্ত হইয়া বড় শঙ্কটাপন্ন হইয়াছিলেন, তাহার পত্নী কৈকেয়ী বিস্ফোটকের বিষ চোষণ করিয়া পতির প্রাণ রক্ষা করেন। তদ্ধেতু নরপতি মহিষীকে দুইটী বর দান করিতে প্রতিশ্রত হইয়াছিলেন । এতকাল কৈকেয়ী বর প্রার্থনা করেন নাই । রামের রাজ্যাভিষেক উপস্থিত দেখিয়া প্রতিশ্রুত বর দান প্রার্থনা করিলেন । এক বরে রামচন্দ্রকে চতুর্দশ বৎসর বনবাসের আদেশ, এবং অপর বরে নিজ পুত্র ভরতকে রাজত্ব দান করিবার অনুমতি প্রার্থনা করিয়া, কৈকেয়ী রাজা দশরথের মস্তকে সহসা বজ্রাঘাত করিলেন । রাজা দশরথ প্রতিজ্ঞা লঙ্ঘন করিতে পারেন না, -তাই অনুচিত প্রার্থনা হইতে বিরত হইবার জন্ত