এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 8 পাঠসাল । ভ্রাতাকে বনবাস হইতে ক্ষান্ত করিবার জন্য র্তাহার পশ্চাতে পশ্চাতে যাইয়া বনমধ্যে উপস্থিত হইলেন । “আমি চতুর্দশ বৎসর বনবাসে না থাকিলে, পিতা ধৰ্ম্মে পতিত হইবেন,* এই কথা বলিয়া অনেক প্রবোধ দিয়! রামচন্দ্র ভরতকে রাজধানীতে পাঠাইয়া দিলেন । ভরত অযোধ্যায় আসিমা রাজ্যশাসন করিতে লাগিলেন বটে, কিন্তু তিনি এমনই ভ্রাতৃভক্ত ছিলেন যে, রাজসিংহাসনে উপবেশন করিতেন না । কথিত আছে রাম চন্দ্রের পরিত্যক্ত পাদুকা সিংহাসনে স্থাপিত করিয়া ভরত স্যায়পরতা ও ভ্রাতৃপ্রেমের পরিচয় প্রদান করিতেন । নানা স্থান পরিভ্রমণ করিয়া রামচন্দ্র, লক্ষণ ও সীতা সমভিব্যাহারে পঞ্চবটী নামক বনস্থলে অবস্থিতি করিতেছিলেন । দাক্ষিণাত্যের কোন কোন স্থান এবং লঙ্কাদ্বীপ তখন রাক্ষসরাজ রাবণের অধিকারে ছিল । যাহারা প্রচুর মদমাংস ভক্ষণ করিত, এ দেশের সেই সকল আদিম নিবাসীকে প্রাচীন গ্রন্থকারের রাক্ষস বলিতেন । রাক্ষসরাজ রাবণ পঞ্চবটী হইতে সীতাকে হরণ করিয়া লঙ্কাতে লইয়া যায় । সীতাশোকে রাম লক্ষ্মণ অতিশয় কাতর হইয়া দাক্ষিণাত্যের নানা স্থান পৰ্য্যটন করেন ; অবশেষে সুগ্ৰীব ও হনুমান প্রভৃতি দাক্ষিণাত্যবাসী বীর