এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পীঠসার । عاعي আমরা নিশ্বাস প্রশ্বাস করিয়া জীবিত থাকিতে পারিতাম না, সেইরূপ আবার বায়ু স্বচ্ছ না হইলে আমরা নিবিড় অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকিতাম । বায়ু স্বচ্ছ না হইলে উহার মধ্য দিয়া আলো যাইতে পারিত না । যদি তেরাত্রি পৃথিবীতে আলোর গতি রোধ হয়, কি ভয়ানক অবস্থা হইয়া উঠে ! মানুষের দিকৃজ্ঞান লোপ পায়, মানুষ এক পদও চলিতে পারে না ; মাতার ক্রোড়ে শিশু অপরিচিতের মত থাকে ; পৃথিবীতে সৌন্দৰ্য্য নামে কিছু থাকিতে পারে না, প্রস্ফুটিত পদ্মপুষ্প ও কুৎসিত মৃত্তিকা-খণ্ডে কোনরূপ ইতরবিশেষ থাকে না ! বায়ুর এক অমূল্য গুণ এই যে, উহাতে শব্দ পরিচালিত হয়। একটা বস্তুতে আর একটি বস্তুর আঘাত করিলে সেই বস্তু দুইটী কম্পিত হয় ; সেই সঙ্গে আহত বস্তুর বেষ্টনকারী বায়ুরাশিও কঁাপিয়া উঠে । একটা পুষ্করিণীর মধ্যস্থলে ঢেলা ফেলিলে জলের যেমন তরঙ্গ উঠে এবং একটর পর আর একটি তরঙ্গ কুলে গিয়া আঘাত করে, আঘাতে বায়ুরও সেইরূপ তরঙ্গ উঠে, এবং সেই তরঙ্গ চারিদিকে বিস্তৃত হয় । ঐরুপ তরঙ্গ আমাদিগের কর্ণের পটহে আঘাত করিলেই আমাদিগের শব্দজ্ঞান হইয়া থাকে। এই জন্ত আঘাত করিবার কিঞ্চি a পরে আমরা শব্দ শুনিতে পাই । নদীতীরে দূরে যখন রজক