এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లి ! পাঠসার । ভয়ানক বেগে সঞ্চালিত হয় । এই সঞ্চালনের নাম বিদ্যুৎখেলা । আর এইরূপ সঞ্চালনে বায়ুর মধ্যে যে ভয়ানক আঘাত লাগে, তাহাতেই বজ্রধ্বনি হয় । বিদ্যুতগ্নি অতি দূরবত্তী বলিয়া লতিকার মত সরু দেখায়, বাস্তব উহা তত সরু নহে । সময়ে সময়ে ঐ অগ্নিস্রোত অতি প্রশস্ত হইয়া থাকে । আকাশে যেরূপ বিদ্যুৎ আছে, পুথিবীতেও সেইরূপ বিদ্যুৎ আছে । যখন মেঘ পৃথিবীর অতি নিকটবৰ্ত্তী হয়, তখন কোন কারণে পৃথিবীস্থ বিদ্যুতের আকর্ষণে মেঘস্থ বিদ্যুতগ্নি স্থলিত হইয়া ভুপুষ্ঠে প্রবেশ করে । যাহার উপরে পড়ে, তাহা যদি জল বা লৌহ প্রভৃতির মত পরিচালক না হয়, তাহা । হইলেই বিদ্যুতের বেগ-শক্তিতে উহা ভাঙ্গিয়া বা চুর্ণ হইয়া যায় । বিদ্যুৎপাতে অনেক সময়ে অনেক সুরম্য অট্টালিকা ধ্বংস হইয়া গিয়াছে । অতি নিকটে বা উপরে বিদ্যুৎপাত হইলে তাহার আকর্ষণে মানবদেহের উষ্ণতা হরণ করে, তাহাতেই মৃত্যু হইয়া থাকে । অজ্ঞ লোকেরা বজ্রপাতের কারণ না জানিয়া উহাকে ইন্দ্রের অস্ত্রপাত বলিয়া বিশ্বাস করে । | ঈশ্বরের কি আশ্চৰ্য্য হুষ্টিকৌশল –পৃথিবীর জল উত্তাপে বাষ্প হইয়া বায়ুভরে ভাসিতে থাকে, আবার শীতল বায়ুর স্পর্শে তাহাই বৃষ্টিবিন্দু রূপে ভূতলে পতিত