883 পাঠসার ও ধৰ্ম্মনিষ্ঠার বলে তিনি জনসমাজের পূজনীয় হইয়া গিয়াছেন । সৰ্ব্বস্থলে এবং সকল অবস্থায় তাহার মহত্ত্বের বিষয় চিন্তা করিলে অবাক হইয়া থাকিতে হয় ! এই মহাত্মা যখন যেখানে যাইতেন, যেন ঐশ্রজালিক প্রভাব বিস্তার করিয়া লোকদিগকে বশীভূত করিতেন। একবার কতকগুলি লোক ওয়েসৃলির নামে রাজদ্বারে অভিযোগ করে । অভিযোগকারীগণ সকলেই বিরক্ত ও উত্তেজিত । কিন্তু বিচারপতি যখন সে সকল লোককে জিজ্ঞাসা করিলেন—“ওয়েস্লির বিরুদ্ধে তোমাদিগের কাহার কি অভিযোগ আছে, নির্দেশ করিয়া বল, তখন কেহই কিছু বলিতে পারিল না ; কেবল একজন লোক এই মাত্র বলিল,-“ওয়েস্লি আমার গুরুতর ক্ষতি করিয়াছে ; আমার পত্নী পূৰ্ব্বে অনেক কথা কহিত, ওয়েস্লির মতানুবৰ্ত্তিনী হইয়া অবধি প্রায় কথা কহে না । বিচারপতি বলিলেন, “যদি ওয়েস্লির এইমাত্র অপরাধ হয়, তবে পল্লীতে যত মুখরা স্ত্রীলোক আছে, সকলকেই ওয়েস্লির কাছে পাঠাইয়া দাও ।” ধৰ্ম্মামুপ্রাণিত ওয়েসূলির উপদেশ ও দৃষ্টান্তগুণে সহস্ৰ সহস্র আত্মা পাপ ও কুঅভ্যাস পরিত্যাগ করিয়া পুণ্যপথের পথিক হইয়াছিল । ওয়েসূলি একবার পথিমধ্যে একাকী দমুহিস্তে
পাতা:পাঠসার.djvu/৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।