এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাষ্পীয় যন্ত্র ७१ রূপে বিস্তৃত হইয়া উঠে, আর যদি বাহির হইবার পথ না পায়, তাহা হইলেই আবরণ ঠেলিয়া ফেলিয়া ধাবিত হয় । এতদ্বারা বেশ বুঝা যাইতেছে যে, জল তাপদ্বারা বাষ্প করিয়া উহা গতিশীল ও প্রচুর শক্তিবিশিষ্ট করা যাইতে পারে। আর যদি এমন একটা কৌশলপূর্ণ পাত্র প্রস্তুত করা যায় যে, বাপ উত্তপ্ত হইয়া সেই পাত্রস্থিত কোন এক পথে প্রবল বেগে গতায়াত করে । তবে সেই গমন-পথের মধ্যস্থলে কোন দ্রব্য স্থাপন করিলে, তাহা বাষ্পবলে নিয়তই আন্দোলিত হইবে । বাষ্পীয় যন্ত্রের একটি অঙ্গকে পেষ্টন বলে ; ঐ পেষ্টন বাষ্পদ্বারা নিয়ত আন্দোলিত হয় । পেষ্টনের সঙ্গে যন্ত্রের চক্রের এমন সুন্দর বন্ধন যে, সেই আন্দোলনেই চক্র ঘুরিয়া থাকে। বাষ্পীয় শকট এইরূপে চালিত হয় । বাষ্পীয় পোতে চক্রের আর সকল দাড়ের কার্য্য করিয়া থাকে । অস্তান্ত অধিকাংশ যন্ত্রের এই চক্রের সঙ্গে চৰ্ম্মের দ্বারা আবদ্ধ নানা প্রকার উপকরণ থাকে ; চক্রের গতিতে পরিচালিত হইয়া সে সকল গুলিই কাৰ্য্য করিয়া থাকে। একটী বাষ্পীয় যন্ত্র যখন কাৰ্য্য করে, তখন তাহার নিকটে দাড়াইয়া দেখিলেই অনেক বুঝিতে পারা যায় । আমরা যাহা লিখিলাম, তাহাতে কতকটা আভাস মাত্র পাওয়া যাইতে পারে ।