মুদ্রাযন্ত্র ও বঙ্গভাষী । તે હૈં ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতি হইয়। মানুষের মানসিক উন্নতির অসীম সুবিধা হইয়াছে। সাহিত্যের ইতিহাস পাঠ করিলেই আমরা মুদ্রাযন্ত্রের উপকারিত হৃদয়ঙ্গম করিতে পারি । মুদ্রাযন্ত্রের অভাবে মানুষকে সকল গ্রন্থই হাতে লিখিয়া লইতে হয় ; মুদ্রাযন্ত্রের স্বষ্টির পূৰ্ব্বে সকল দেশের লোকই সকল গ্রন্থ হাতে লিখিয়া লইত । একখানি বড় পুস্তক হাতে লিখিয়া লওয়া সহজ নহে। একশত পৃষ্ঠা পরিমিত একখানি পুস্তক যে সময়ের মধ্যে এক ব্যক্তি হাতে লিখিয়া লইতে পারে, সাত তাট জন লোক পরিশ্রম “করিলে মুদ্রায়ন্ত্রের সাহায্যে সেই সময়ের মধ্যে সেইরূপ পঞ্চাশ সহস্র পুস্তক মুদ্রিত করিতে পারে। বহুলোক একত্র হইয়া উৎকৃষ্ট মুদ্রাযন্ত্র সহযোগে পরিশ্রম করিলে, এক ব্যক্তির পরিশ্রমে একদিনে যত লেখা মুদ্রিত হইতে পারে, হস্তে লিখিতে হইলে সেই ব্যক্তি সমস্ত জীবনকালেও তাহা লিখিয়া উঠিতে পারে না । মুদ্রাযন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গে কাগজ নিৰ্ম্মাণেরও যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছে । পূৰ্ব্বে যেমন লোকে গ্রন্থ সকল হাতে লিখিয়া লইত, তেমনই গ্রন্থ প্রস্তুতের জন্ত কাগজ হাতে তৈয়ার করিত। আমাদিগের দেশে পূৰ্ব্বে লোকে তাল পত্রে ও তুলট-কাগজে পুস্তকাদি লিখিয়া লইত । এইক্ষণ ডিমাই,
পাতা:পাঠসার.djvu/৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।