এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাঠসার । ولا يج রয়েল, ও সুপার-রয়েল প্রভৃতি নানা প্রকার আকারের অনেকরুপ কাগজ আমরা দেখিতে পাই ; শত বৎসর পূৰ্ব্বে বাঙ্গালাদেশে প্রায় কেহই উহার নামও জানিত না । বাষ্পীয় যন্ত্র দ্বারা কাগজ প্রস্তুত হইতেছে বলিয়াই কাগজ এরূপ উৎকৃষ্ট ও সুলভ হইয়াছে । আমাদিগের দেশের অনেক কাগজই জৰ্ম্মনী, ফ্রান্স ও ইংলণ্ড প্রভৃতি দেশ হইতে আনীত হয় । কলিকাতার নিকট বালি ও টিটাগড় নামক স্থানে দুইটী কাগজের কল আছে, উহাতেও নানা প্রকারের কাগজ প্রস্তুত হইতেছে । মুদ্রাযন্ত্রের হুষ্টির পূৰ্ব্বে শিক্ষার্থী ও সাহিত্যব্যবসায়িদিগের যে কিরূপ অসুবিধা ছিল, দুই একটি গল্প শুনিলেই বুঝা যাইবে । আমরা একখানি পুরাতন রামায়ণ গ্রন্থ দেখিয়াছি; প্রায় একশত বৎসর হইল ঐ গ্রন্থ হস্তে লিখিত হইয়াছে। মুদ্রাযন্ত্র এদেশে আসিবার পূৰ্ব্বে সকল গ্রন্থই ঐরূপে লিখিত হইত। সেই গ্রন্থের আরম্ভে এবং শেষে নানা দেব দেবীকে স্মরণ ও সাক্ষী করিয়া এই— রূপ ভাবের ভূরি ভুরি দিব্য ও অভিশাপ লিখিত রহিযাছে যে, “যে ব্যক্তি এই গ্রন্থ অপহরণ বা গ্রন্থের কোন ক্ষতি করিবে, তাহাব কুষ্ঠরোগ হইবে, বা তাহার চতুর্দশ পুরুষ নরকস্থ হইবে’ ! ঐ সকল কথা পাঠ করিয়া