পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సె8. পাতঞ্জল দর্শন। [ পা ১ । সূ৪৮ । ] অনুবাদ। রজঃ ও তমোগুণের উপচয়কে অশুদ্ধি বলে, সেইটাই আবরণরূপ মল, উহা হইতে বিনিন্মুক্ত প্রকাশ-স্বভাব অন্তঃকরণের রজঃ ও তমোগুণের দ্বারা অনভিভূত অর্থাৎ আবরণের অযোগ্য নিৰ্ম্মল স্থিতিধারাকে বৈশারদ্য বলে, (এই অবস্থায় কেবল সাত্বিকভাবেই চিত্ত অবস্থান করে ), এইরূপে যোগিগণের নির্বিচার সমাধির নিৰ্ম্মলতা জন্মিলে অধ্যাত্ম প্রসাদ অর্থাৎ চিত্তের উৎকর্ষ জন্মে, যাহাতে ক্রমের ( একটীর পর আর একটর) অনুরোধ না করিয়া যুগপৎ সমস্ত বিষয় অবগাহী যথার্থরূপে স্পষ্টতঃ জ্ঞান প্রকাশ হয়। এ বিষয়ে পরমর্ষিগণের উক্তি আছে, “যেমন উত্তঙ্গ শৈলশিখরস্থিত পুরুষ ভূমিষ্ঠ ব্যক্তিগণকে আপনার নিম্নে অবলোকন করে, এবং আপনাকে সৰ্ব্বোপুরি দর্শন করে, তদ্রুপ প্রজ্ঞাপ্রসাদ অর্থাৎ জ্ঞানালোকের প্রকর্ষ লাভ করিয়া বিজ্ঞ যোগিগণ স্বয়ং অশোচ্য অর্থাৎ বন্ধমুক্ত হইয়া অপর সকল অজ্ঞ পুরুষকে বোরুদ্যমান দর্শন করেন ॥ ৪৭ ॥ अखबा । উজ্জ্বল প্রদীপ বা মণি প্রভাকে আবরণ বিশেষ দ্বারা আচ্ছাদন করার দ্যায় তমোগুণ সমস্ত জগৎপ্রকাশক চিত্তসত্বকে আবরণ করে বলিয়া যুগপৎ সমস্ত জ্ঞান হইতে পারে না। উক্ত আবরণ যেমন যেমন তিরোহিত হয় চিত্তও ঐরূপ পদার্থ সকলকে প্রকাশ করিতে পারে। মৃৎপাত্রের মধ্যে প্রদীপ থাকিলে কেবল তাহাকেই প্রকাশ করে, ঐ পাত্র ভঙ্গ করিলে সমস্ত গৃহ প্রকাশ হয়, গৃহের ভিত্তি বিনাশ করিলে বাহিরেও প্রকাশ হয়, অন্তঃকরণেও এইরূপে জ্ঞানের বৃদ্ধি হইয়া থাকে ॥ ৪৭ ॥ সূত্র । ঋতম্ভরা তত্র প্রজ্ঞা ॥ ৪৮ ॥ ব্যাখ্য'। তত্ৰ ( তস্মিন বৈশারদ্যে সতি ) প্রজ্ঞা (নিৰ্ব্বিচারসমাধিজন্তং জ্ঞানং ) ঋতম্ভরা (সত্যপালিকা ইতি সংজ্ঞকা ভবতি ) ॥ ৪৮ ॥ । তাৎপৰ্য্য। পূৰ্ব্বোক্ত সমাধি হইতে চিত্তের নৈৰ্ম্মল্য হইলে যে জ্ঞান হয় . তাহাকে ঋতম্ভর প্রজ্ঞ বলে ॥ ৪৮ ভাষ্য। তস্মিন সমাহিতচিত্তস্ত যা প্রজ্ঞা জায়তে তস্ত ঋত স্তরেতি সংজ্ঞা ভবতি, অস্বর্থ চ সা সত্যমেব বিভৰ্ত্তি ন তত্র বিপৰ্য্যাস