পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

] পাতঞ্জল দর্শন। [ পা ২। সূ৫ । • لا لا পাপকার্য্যে (হিংসাদিতে) পুণ্যজ্ঞান এবং অনর্থে ( ধনাদিতে ) অর্থ (কল্যাণ) বলিয়া ভ্রাস্তিজ্ঞান বলা হইয়াছে বুঝিতে হইবে। এইরূপ দুঃখে মুখবোধ “পরিণাম তাপসংস্কার” ইত্যাদি সাধন পাদের ১৫ স্বত্রে বলা হইবে। বিবেকীর দৃষ্টিতে সমস্তই দুঃখ, অর্থাৎ অজ্ঞলোকে যাহাকে সুখ বা মুখের উপায় বলিয়া জানে ঐ সমস্ত বৈষয়িক পদার্থ বিবেকীর চক্ষে দুঃখময়, উহাতে সুখ জ্ঞান হয় এটী অবিদ্যা অর্থাৎ ভ্রান্তিজ্ঞান | এইরূপে অনাত্ম বস্তুতে আত্মজ্ঞানকেও অবিদ্যা বলিয়া জানিবে, চেতন ও অচেতনভেদে দুই প্রকার বাহ বস্তুতে, ভোগের অধিষ্ঠান ( অবচ্ছেদক ) স্থল শরীরে অথবা পুরুষের উপকরণ ( ভোগজনক ) চিত্ত এই সমস্ত অনাত্ম বস্তুতে আত্মজ্ঞান ইহাও অবিদ্যা । এ বিষয়ে ভগবুান্‌ পঞ্চশিখ আচাৰ্য্য বলিয়াছেন, ব্যক্ত অর্থাৎ চেতন পুত্র স্ত্রী ও পশু প্রভৃতি এবং অব্যক্ত অর্থাৎ অচেতন শয্যা আসন প্রভৃতি পদার্থকে আত্মা বলিয়া জানিয়া তাহারই সম্পদ বিপদকে নিজের সম্পদ বিপদ বলিয়া জানিয়া সমস্ত অজ্ঞলোক আনন্দিত ও দুঃখিত হইয়া থাকে। উক্ত অনিত্য প্রভৃতি বিষয়ে চারি প্রকার অবিষ্ঠাই ক্লেশ সমুদায়েরও সবিপাক (জাতি, আয়ু ও ভোগরূপ ফলের সহিত) ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মরূপ কৰ্ম্মশিয়ের মূল। অমিত্ৰ ( শক্ৰ ) ও অগোপদের (বৃহৎ দেশের) স্তায় অবিদ্যা একটা বস্তু সতত্ব অর্থাৎ ভাব পদার্থ, যেমন অমিত্র বলিলে মিত্রের অভাব অথবা কেবল মিত্র না বুঝাইয়া মিত্রের বিরুদ্ধ শক্র বুঝায়, যেমন অগোস্পদ বলিলে গোস্পদের অভাব অথবা কেবল গোস্পদ না বুঝাইয়া উহাদের অতিরিক্ত একটী বিপুল দেশরূপ অন্ত বস্তু বুঝায়, তদ্রুপ অবিদ্যা প্রমাণ বা প্রমাণের অভাব নহে, কিন্তু বিদ্যার ( জ্ঞানের) বিপরীত (বিনাপ্ত ) অন্ত একটা ভ্ৰমজ্ঞান ॥ ৫ ॥ o মন্তব্য। উল্লিখিত অবিস্তাশব্দে মিথ্যা সংস্কারকেই বুঝিতে হইবে, উহ আবহমানকাল প্রসিদ্ধ, তত্বজ্ঞান ভিন্ন অপর কিছুতেই উহার বিনাশ হয় না, যতদিন উহ থাকিবে ততকাল জীব এই সংসারবন্ধনে আবদ্ধ থাকিবে। হিংসাদিকার্য্যে ধৰ্ম্মবুদ্ধি বলায় বৈধহিংসার (বলিদান) উল্লেখ হইয়াছে। বৈষহিংসাবিষয়ে শাস্ত্রের মতভেদ আছে, সাংখ্য পাতঞ্জলমতে বৈধহিংসায় (পশুবিনাশে ) যাগের সিদ্ধি হয় অথচ পাপ হয়, পাপ অপেক্ষা পুণ্যের ভাগ অতিরিক্ত বলিয়াই লোকের উহাতে প্রবৃত্তি হইয়া থাকে। মীমাংসক নৈয়ায়িক