পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ২। সূ২১ । ] সাধন পাদ । 》8업 করিয়াছেন । বিজ্ঞান ভিক্ষুর মতে উভয়ের ছায়াই উভয়ে পতিত হয়। বুদ্ধিতে পুরুষের ছায় পড়িলে ঐ ছায়াবিশিষ্ট বিষয়াকারে পরিণত বুদ্ধির ছায় পুরুষে পড়ে, ইহাতেই জ্ঞানে আত্মারও অবভাস হয়। প্রথমাধ্যায়ে “বৃত্তিসৗরূপামিত রত্র” এই স্বত্রে বিশেষ বলা হইয়াছে ॥ ২• ॥ সূত্র। তদৰ্থ এব দৃশ্যস্তাত্মা ॥ ২১ ॥ ব্যাখ্যা। দৃশুন্ত (ভোগ্যস্ত বুদ্ধাদে:) আত্মা (স্বরূপম) তদৰ্থ এব ( পুরুষাৰ্থ এব, বিজ্ঞেয় ইতি শেষ: ॥ ২১ ॥ . তাৎপৰ্য্য। বুদ্ধ্যাদি সমস্ত ভোগ্য জড়বর্গের স্বরূপ পুরুষাৰ্থই সম্পাদন করে, উহাদের স্বার্থ প্রবৃত্তি কিছুই নাই ॥ ২১ ॥ ভাষ্য। দৃশিরূপস্য পুরুষস্য কৰ্ম্মরূপতামাপন্নং দৃশ্যমিতি তদৰ্থ এব দৃশ্বাস্তাত্মা স্বরূপং ভবতীত্যৰ্থঃ । তৎ স্বরূপং তু পররূপেণ প্রতিলন্ধাত্মকং ভোগাপবর্গার্থতায়াং কৃতায়াং পুরুষেণ ন দৃশ্বতে ইতি। স্বরূপহানাদস্ত নাশঃ প্রাপ্ত, নতু বিনশুতি ॥ ২১ ॥ অনুবাদ । বুদ্ধ্যাদি জড়বর্গ দৃশিরূপ চেতনস্বরূপ পুরুষের জ্ঞানের বিষয় হইয়াই দৃপ্ত হয় “জ্ঞেয় হয়”, অতএব ঐ দৃষ্ঠের স্বরূপ পুরুষাৰ্থ ভোগ ও অপবর্গ সম্পাদনের নিমিত্তই হইয়া থাকে। এই দৃষ্ঠের স্বরূপ পররূপ অর্থাৎ চৈতন্তস্বরূপ পুরুষ দ্বারাই প্রতিলন্ধাত্মক হয় অর্থাৎ দৃশুনামক নিজের স্বরূপ লাভ করে, ভোগ ও অপবর্গরূপ পুরুষাৰ্থ সিদ্ধি হইলে আর পুরুষের দ্বারা দৃষ্ট হয় না। যদি দৃপ্ত না হয় তবে স্বরূপ দৃষ্ঠভাব বিনষ্ট হইলে বুদ্ধ্যাদির বিনাশ হউক, না, তাহ * হইবে না, বুদ্ধ্যাদির অত্যন্ত উচ্ছেদ হইবে না। ২১ ॥ মন্তব্য। দৃশুমাত্রই পরার্থ, ঐ পর (যাহার প্রয়োজনসাধনে বুদ্ধ্যাদির প্রবৃত্তি হয়) দৃপ্ত অর্থাৎ জড় হইলে সেটও পরার্থ হয়, এইরূপে অনবস্থা হইয় যায়, অতএব উক্ত পরটা দৃগু নহে, কিন্তু চেতন আত্মা। দৃশুমাত্রই মুখদুঃখাদি স্বরূপ, উহারা অমুকুল ও প্রতিকুল স্বভাব, অর্থাৎ কাহারও অনুকূলে কাহারও প্রতিকূলে হয়, আপনার অনুকুল আপনি হইতে পারে না তাহাতে যেটা কর্তা সেইটাই কৰ্ম্ম এইরূপে কৰ্ম্মক বিরোধ হয়, অতএব দৃপ্ত সমুদায়ের অনুকুলনীয়