পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Qや পাতঞ্জল দর্শন। ( পা ২। সূ২৫ ] তদৃশে কৈবল্যম্ (তৎ হানং দৃশে আত্মন, কৈবল্যং স্বরূপেংবস্থানং মুক্তি রিতার্থ )। ২৫ ৷ তাৎপৰ্য্য। আত্মজ্ঞান দ্বারা প্রাগুক্ত অবিদ্যার বিনাশ হইলে প্রকৃতি পুরুষের সংযোগ অর্থাৎ পূৰ্ব্বোক্ত সম্বন্ধ-বিশেষ বিনষ্ট হয়, উহাকে হান বা মুক্তি বলে, উহাই পুরুষের স্বরূপে অবস্থান ॥ ২৫৭ ভাষা। তস্তাদর্শনস্তাভাবাৎ বুদ্ধিপুরুষসংযোগাভাবঃ আত্যস্তিকো বন্ধনোপরম ইত্যর্থ, এতদ হানং, তদৃশেঃ কৈবল্যম পুরুষস্তামিত্রভাবঃ, পুনরসংযোগে। গুণৈরিত্যর্থঃ । দুঃখকারণনিবৃত্ত্বে দুঃখোপরমে হানং তদা স্বরূপপ্রতিষ্ঠঃ পুরুষ ইত্যুক্তম্ ॥ ২৫ ॥ অনুবাদ । ত্যাগের যোগ্য দুঃখ ও দুঃখের কারণ প্রকৃতি পুরুষের সংযোগকে কারণের (আদর্শনের ) সহিত বলা হইয়াছে, ইহার পর হান অর্থাৎ মুক্তির স্বরূপ বলিতে হইবে। সেই আদর্শন অর্থাৎ মিথ্যাসংস্কাররূপ অবিদ্যার বিনাশ হইলে তৎকার্য্য বুদ্ধি ও পুরুষের সংযোগের অর্থাৎ পূৰ্ব্বোক্ত সম্বন্ধের বিনাশ হয়, ইহাতেই বন্ধনের অর্থাৎ দুঃখত্রয়ের আত্যন্তিক বিনাশ হয়, পুনৰ্ব্বার উৎপত্তি হয় না। ইহাকে হান (মুক্তি ) বলে, এই অবস্থায় চৈতন্যস্বরূপ পুরুষের কৈবল্য অর্থাৎ জড়বর্গের সহিত অসংমিশ্রণ হয়, গুণত্রয়ের সহিত ভোগজনক সম্বন্ধ হয় না। দুঃখের কারণ সংযোগের নাশ হইলে দুঃখের উপরম হয়, এই অবস্থায় পুরুষ স্বরূপে অর্থাৎ স্বকীয় কেবল জ্ঞানরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ॥ ২৫ ॥ মন্তব্য। সকল অনর্থের মূলীভূত অবিদ্যার নিবৃত্তি হইলেই মুক্তি করতলগত হয়। ভগবান অক্ষপাদ বলিয়াছেন “দুঃখজন্মপ্রবৃত্তিদোষমিথ্যাজ্ঞানানামুক্তরোত্তরাপায়ে তদনন্তরাপায়াপবর্গঃ” অর্থাৎ দুঃখাদির পর-পরটার বিনাশ হইলে পুৰ্ব্ব-পূৰ্ব্বটীর বিগম হইয়া দুঃখের নিবৃত্তি হয় ইহাকেই মোক্ষ বলে। মিথ্যাজ্ঞান (অবিস্ত) নিবৃত্তি হইলে দোষ বিনষ্ট হয় ইত্যাদি ভাবে দুঃখত্রয়ের অত্যন্ত বিনাশকেই মুক্তি বলে। দুঃখাভাবটা জন্ত হইলেও উহা অনিত্য নহে, কারণ জুস্ত ভাবেরই বিনাশ হয়, জষ্ঠ অভাবের বিনাশ হয় না, ধ্বংসাভাব জন্য হইলেও