পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ના રા નૂ ર૭ | ] সাধন পাদ । ১৫৭ উহ! অনিত্য নহে। অভাবকে মুক্তি বলা হইল, উহা পুরুষের অতিরিক্ত নহে, সাংখ্য পাতঞ্জলমতে অভাবটী অধিকরণের অতিরিক্ত নহে ॥ ২৫ ॥ ভাৰ্য। অর্থ হানন্ত কঃ প্রাকৃপায় ইতি। সূত্র। বিবেকখ্যাতিরবিপ্লব হানোপায়ঃ ॥ ২৬ ॥ ব্যাখ্যা । অবিপ্লব ( বিপ্লবেন মিঃ্যাজ্ঞানেন বিরহিতা ) বিবেকথ্যাতিঃ (সত্বপুরুষভেদজ্ঞানম্) হানোপায়ঃ (হানস্ত দুঃখত্যাগস্ত উপায়ঃ কারণম) ॥২৬ তাৎপৰ্য্য। বিবেকজান মিথ্যাজ্ঞান বা তৎকৃতবুখিানবিরস্থিতভাবে নিরন্তর উৎপন্তমান হইলে মোক্ষের কারণ হয় ॥ ২৬ ॥ ভাষ্য। সত্বপুরুষান্যতাপ্রত্যয়ো বিবেকখ্যাতিঃ, সা ত্বনিবৃত্তমিথ্যাজ্ঞানা প্লবতে, যদা মিথ্যাজ্ঞানং দগ্ধবীজভাবং বন্ধ্যপ্রসবং সম্পছতে তদা বিধৃতক্লেশরজসঃ সত্বস্ত পরে বৈশারছে পরস্তাং বশীকারসংজ্ঞায়াং বৰ্ত্তমানস্ত বিবেকপ্রত্যয়প্রবাহো নিৰ্ম্মলো ভবতি, সা বিবেকখ্যাতিরবিপ্লব হানস্তোপায়, ততো মিথ্যাজ্ঞানস্ত দগ্ধবীজভাবোপগমঃ পুনশ্চাপ্রসব, ইত্যেষ মোক্ষস্ত মার্গে হানস্তোপায় झुङि ॥ २७ ॥ অনুবাদ। হানের প্রাপ্তির উপায় কি তাহ বলা যাইতেছে। সত্ব (বুদ্ধি) ও পুরুষের ভেদজ্ঞানকে বিবেকখ্যাতি বলে, এই বিবেকথ্যাতি মিথ্যা জ্ঞানবিরহিত না হইলে অভিভূত অর্থাৎ স্বকাৰ্য্য মোক্ষজননে অসমর্থ হয়। শরীরাদিতে আত্মজ্ঞান প্রভৃতি মিথ্যাজ্ঞান যেকালে দগ্ধবীজের তুল্য হইয়া বন্ধ্যপ্রসব হয় অর্থাৎ যখন সংযোগাদি কাৰ্য্য করিতে পারে না তখন চিত্তের অবিদ্যাদি ক্লেশরাপ ধুলি তিরোহিত হইলে অতি স্বচ্ছভাব জন্মে, তখন বশীকার সংজ্ঞানামক পরবৈরাগ্যে বর্তমান ঐ চিত্তের কেবল অতি নিৰ্ম্মল বিবেকঞ্জান-ধারা বহিতে থাকে, উহাকে অৰিপ্লব বিবেকখ্যাতি বলে, উহাই হানের কারণ, উহা দ্বার। মিথ্যাজ্ঞান দগ্ধবীজ সদৃশ হইয়া যায়, পুনৰ্ব্বার আর প্রসব (কার্য্যারম্ভ ) করিতে পারে না, এইরূপ বিবেকখ্যাতিই মোক্ষপথ বা হানের উপায় ॥ ২৬ ॥