পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭ 6 পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ২। সূ ৩৩। ] ক্রিয়াসমুদায়ের বিধান আছে, সদাচার, সৎসঙ্গ, সাত্বিক ভোজন ইত্যাদির সহিত ধৰ্ম্মেয় বিশেষ সম্বন্ধ আছে, এই নিমিত্তই ভগবদগীতায় সাত্বিক রাজসিক ও তামসিক ত্ৰিবিধ আহারের উল্লেখ করিয়া সাত্বিক আহারের প্রশংসা করা হইয়াছে। ছান্দোগ্য উপনিষদে বিশেষরূপে দেখান হইয়াছে —আহারের স্থল বা অধম ভাগ মূত্রপুরীষাদিরূপুে বহির্গত হয়, মধ্যম ভাগ দ্বারা রসরক্ত ইত্যাদি সপ্তধাতুর উপচয় পূর্বক দেহের (স্থল শুরীরের) পোষণ হয়, এ নিমিত্তই দেহকে অন্নময় কোষ বলে, উত্তম ভাগ দ্বারা" চিত্তের ( স্থল্ম শরীরের ) পুষ্টি হয়, এই উত্তম ভাগই সাত্বিক, যে সমস্ত বস্তুতে সাত্বিক অংশ অবিক থাকে তাহাতেই চিত্তের শক্তি বুদ্ধি হয়, এই উদ্দেশুই সাধারণের অন্ন ভোজন করা নিষিদ্ধ। “অন্নময়ং মনঃ” ইত্যাদি শ্রুতিতে উক্ত বিষয় প্রদর্শিত আছে । অন্তঃশুদ্ধির অভিলাষ থাকিলে বহিঃশুদ্ধির দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা আবশুক, কেবল আমি শুচি হইব নিৰ্ম্মল অন্তঃকরণ হইব এরূপ ইচ্ছায় কিছুই হয় না,অভিলাষানুসারে চিত্তশুদ্ধি হইতেছে কি না, ঈৰ্ষা দ্বেষ প্রভৃতি চিত্তমল দূর হইতেছে কি না তৎপ্রতি দৃষ্টি না রাখিয়া কেবল বাহ আড়ম্বরে কোন ফলই হয় না, উহা একরূপ ধৰ্ম্মের ভাণ মাত্র। এক শ্রেণির লোক কেবল বাহা অনুষ্ঠানকেই পরম পদার্থ মনে করিয়া সৰ্ব্বথাভাবে তাহারই অনুষ্ঠানে রত থাকে, চিত্তশুদ্ধি যে একটী স্বৰ্গীয় বস্তু আছে তাহার অনুসন্ধানও রাখে না, অপর শ্রেণির লোক চিত্তশুদ্ধি কামনা করে সত্য কিন্তু ঘোর অলস অথবা বৃথা অভিমানী, বাহ অনুষ্ঠানে বিশেষ বিদ্বেষী, ইহাদের কেহই চিত্তশুদ্ধি লাভ করিতে পারে না, চিত্তশুদ্ধি অতি দুর্লভ পদার্থ, সৰ্ব্বদা সদাচার, সংসংসর্গ, সৎকৰ্ম্মানুষ্ঠান ইত্যাদিতে রত থাকিতে হয়, ব্রত নিয়মাদি কঠোর পালন করিতে হয়, তবে হইলেও হইতে পারে। কৃচ্ছ্ব চান্দ্রায়ণ প্রভৃতি ব্ৰত সমুদায় মমু প্রভৃতি ধৰ্ম্মশাস্ত্রে বিহিত আছে গ্রন্থ বাহুল্যভয়ে প্রদর্শিত হইল না ॥ ৩২ ৷ ভাৰ্য । এতেষাং যমনিয়মানাম । সূত্র। বিতর্কবাধনে প্রতিপক্ষভাবনমৃ ॥৩৩ ॥ ব্যাখ্যা । বিতর্কবাধনে (বিতর্কৈ হিংসাদিভিঃ বাধনে উচ্ছেদে) প্রতিপক্ষ:"ম্ভাবন (প্রতিকুলচিন্তন কর্তব্যমিতি শেষ ) ॥৩৩।