পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[পী ২। সূ ৫০ । ] সাধন পাদ । ১৯১ এবং তৃতীয়ঃ, এবং মৃদুঃ, এবং মধ্যঃ, এবং তীব্রঃ, ইতি সংখ্যাপরিদৃষ্ট, স খন্বয়মেবমভ্যস্তে দীৰ্ঘসূক্ষমঃ ॥ ৫০ ॥ অনুবাদ। প্রশ্বাস পূৰ্ব্বক গতির অভাব হইলে বাহ অর্থাৎ রেচক বলে, শ্বাস পূর্বক গতির অভাব হইলে আভ্যন্তর অর্থাৎ পূরক বলে। যেস্থলে একবার মাত্র বিধারক প্রযত্ন ( যাহাতে প্রাণের ক্রিয় স্বয় না, শ্বাস প্রশ্বাস হয় না) হইতে শ্বাস প্রশ্বাস উভয়ের অভাব হয়;সেইটা তৃতীয় অর্থাৎ কুম্ভক উহাকে স্তম্ভবৃত্তি বলে। যেমন উত্তপ্ত প্রস্তরখণ্ডে জলবিন্দু প্রক্ষেপ করিলে তাহ চতুর্দিক হইতে সস্কুচিত থাকে, তদ্রুপ একটা মাত্র বিধারক প্রযত্ন হইতেই শ্বাস প্রশ্বাস উভয়ের অভাব একদাই হইতে পারে। রেচক, পূরক ও কুন্তকরূপ এই ত্ৰিবিধ প্রাণায়াম দেশ অর্থাৎ বিষয় দ্বারা পরিলক্ষিত হয়, এইটুকু (বিতস্তি প্রভৃতি) ইহার দেশ অর্থাৎ শরীরের বাহিরে কতদূর পর্য্যন্ত বায়ুর সঞ্চার হয় তাহ জানা যায় । উক্ত ত্ৰিবিধ প্রাণায়াম কাল অর্থাৎ ক্ষণদ্বারাও লক্ষিত হইয়া থাকে, এতক্ষণ কুম্ভক হইয়াছিল এরূপ নিশ্চয় হয় । এবং সংখ্যা দ্বারা প্রাণায়াম পরিদৃষ্ট হয় অর্থাৎ এতগুলি শ্বাসপ্রশ্বাস ক্রিয়ার কাল দ্বারা প্রথম উদঘাত অর্থাৎ পূরক হইয়াছে, এতগুলি দ্বারা নিগৃহীতের অর্থাৎ দ্বিতীয় কুম্ভক এবং এতগুলি দ্বারা তৃতীয় রেচক সিদ্ধ হইল ইত্যাদি, ইহাদের আবার তারতম্য অনুসারে মৃদু, মধ্য ও তীব্রভাবে সংখ্যা পরিদৃষ্ট হয়। প্রাণায়াম এইরূপে অভ্যস্ত হইলে দীর্ঘ সুক্ষ বলা যায়, অর্থাৎ দেশকাল সংখ্যার আধিক্য হইলে দীর্ঘ ও নুন্নত হইলে স্বক্ষ বলে ॥ ৫• । মন্তব্য। রেচক স্থলে অপূরণ প্রযত্ন সমুদায়ের অর্থাৎ যেরূপ চেষ্টায় বাহিরের বায়ু অন্তরে প্রবেশ করে তাহার প্রতিরোধ করিতে হয়, পূরক স্থলে রেচক প্রযত্ন সমুদায়ের নিরোধ করিতে হয়, কুম্ভক স্থলে এই উভয়ের ক্রম অপেক্ষ না করিয়া একেবারেই উভয়ট সম্পন্ন হয়। তৃতীয় প্রাণায়াম কুম্ভক দ্বারা প্রাণবায়ু রুদ্ধগতি হইয়া স্বশ্নভাবে শরীরে অবস্থান করে, বোধ হয় যেন প্রাণবায়ুর অভাব হইয়াছে। বায়ুহীন প্রদেশে লঘু তুলারাশি রাখিয়া শ্বাস বহন করিলে বিতস্তি প্রভৃতি বহিঃ বিষয়ের অনুভব হইতে পারে, অর্থাৎ কতদূরে প্রাণবায়ুর কম্পন ছয়