পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.৯৯২ পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ২। সূ ৫০ । ] তাহা দেখিয়া জানিতে পারা যায়। পদতল হইতে মস্তক পৰ্য্যন্ত পিপীলিকার স্পর্শ সদৃশ স্পর্শ জ্ঞান দ্বারা প্রাণবায়ুর গতি সঞ্চার জানা যায়, ইহাকেই প্রাণবায়ুর অন্তর্বিষয় বলে। বিতস্তি অথবা ঐরূপ কোনও পরিমিত প্রদেশ বিশেষ পৰ্য্যন্ত শ্বাস পরিত্যাগ করিয়া সেই স্থানেই প্রাণবায়ুর গতিরোধ করা এইরূপে দেশপরিদৃষ্ট রেচক প্রাণায়াম হয়। শরীরের সমস্ত স্থানেই প্রাণাদি বায়ুর সঞ্চার আছে, অভ্যন্তরে কোনও একটা স্থান বিশেষ পৰ্য্যন্ত শ্বাস টানিয়া লইয়া সেই স্থানেই উহার গতিরোধ করিলে দেশপরিদৃষ্ট পূরক প্রাণায়াম হয়, উক্তবিধ শ্বাসপ্রশ্বাস উভয়ের গতিরোধ করিলে তাদৃশ কুম্ভক প্রাণায়াম হয়। যেটুকু সময়ে চক্ষুর নিমেষ হয় উহার চারি ভাগের এক ভাগের নাম ক্ষণ, এই ক্ষণের ইয়ত্ত দ্বারা অর্থাৎ এতক্ষণ রেচক, এতক্ষণ পূরক, এতক্ষণ কুম্ভক এই ভাবে কাল দ্বারা উক্ত ত্ৰিবিধ প্রাণায়াম পরিলক্ষিত হয়। যতক্ষণে সুস্থ ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাস হয় তাহাকে মাত্রা বা ছোটিকা বলে । “কুস্তে কমিব” এইরূপে কুম্ভকশব্দের ব্যুৎপত্তি, যেমন কলসীতে জল পরিপূর্ণ থাকিলে তাহাতে কোনওরূপ শব্দ শুনা যায় না। অল্প কিছু খালি থাকিলে শব্দ হয়, তদ্রুপ পূরক দ্বারা দেহের সমস্ত অবয়বে বায়ুর পূরণ হইলে আর তাহাতে বায়ুর সঞ্চার হয় না, সুতরাং স্থিরভাবে থাকে। অল্প পরিমাণ মূৰ্ত্ত দ্রব্যের (সীমাবদ্ধ বস্তুর ) স্থিতিবিরোধ গুণ আছে, তাহাতে একটা মূৰ্ত্ত দ্রব্য ( ঘটপটাদি ) এক স্থানে থাকিলে সেখানে আর দ্বিতীয়টা থাকিতে পারে ন, গৃহের এক দিকে জানালা না থাকিলে অপর দিক্ হইতে বায়ুর সঞ্চার হয় না, এইরূপ শরীরের সকল স্থানে বায়ুপূর্ণ থাকিলে এক স্থান হইতে অন্ত স্থানে বায়ুর সঞ্চার হয় না, কাজেই শরীর স্থির ও লঘু হয়। পূৰ্ব্বোক্ত কাল ও সংখ্যা ফলতঃ একরূপ হইলেও ক্ষণের ইয়ত্ত কাল ও মাত্রার ইয়ত্ত সংখ্যা এইরূপে কথঞ্চিৎ ভেদ বুঝিতে হইবে। ৩৬টা মাত্রায় প্রথম উদৰ্ঘাত অর্থাৎ মৃদু, তাহার দ্বিগুণে দ্বিতীয় উদঘাত অর্থাৎ মধ্যম ও ত্রিগুণে তৃতীয় অর্থাৎ তীব্র হয়, এইরূপে বাচস্পতি ব্যাখ্যা করিয়াছেন। “প্রাণেন প্রের্য্যমাণেন অপান পীড়াতে যদি। গত্বা চোদ্ধং নিবৰ্ত্তেত এতদ্বদ্যাতলক্ষণং" অর্থাৎ চালিত প্রাণবায়ু দ্বারা অপান বায়ু পীড়িত হইয়া যদি উদিকে উখিত হয় এবং পুনৰ্ব্বার নিবৃত্ত হয় ইহাকে উদঘাত বলে, এই প্রমাণ অবলম্বন করিয়া ভোজরাজ বলিয়াছেন "নাভিমূল