পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 . . পাতঞ্জল দর্শন। [পা ১ । সু ১ । ] ক্ষিপ্তং, মূঢ়ং, বিক্ষিপ্তং, একাগ্রং, নিরুদ্ধমিতি চিত্তভূময়ঃ । তত্র বিক্ষিপ্তে চেতসি বিক্ষেপোপসর্জনীভূত সমাধিন যোগপক্ষে বর্ততে। যত্ত্বেকাগ্রে চেতলি সস্তুতমৰ্থং প্রদ্যোতয়তি, ক্ষিণোতি চ ক্লেশান, কৰ্ম্মবন্ধনানি শ্লথয়তি, নিরোধমভিমুখং করোতি স সম্প্রজ্ঞাতে যোগ ইত্যাখ্যায়তে। স চ বিতর্কামুগত, বিচারামুগত, আনন্দানুগত, অস্মিতানুগত ইত্যুপরিষ্টাৎ প্রবেদয়িষ্যামঃ । সর্ববৃত্তিনিরোধে । ত্বসম্প্রজ্ঞাতঃ সমাধি: ॥ ১ । অনুবাদ । এই অর্থ শব্দের অর্থ অধিকার অর্থাৎ আরম্ভ। যোগানুশাসন ( যোগের উপদেশক ) নামক শাস্ত্র আরব্ধ হইল ইহা বুঝিতে হইবে। যোগশব্দের অর্থ সমাধি অর্থাৎ চিত্তবৃত্তিনিরোধ। সমস্ত ভূমিতে (অবস্থাতে ) বিদিত ধৰ্ম্মকে সমাধি বলে। ক্ষিপ্ত, মূঢ়, বিক্ষিপ্ত, একাগ্র ও নিরুদ্ধ এই পাচটা চিত্তের ভূমি অর্থাৎ অবস্থা। ইহার মধ্যে বিক্ষিপ্তচিত্তে যে সমাধি হয় উহা যোগপক্ষে থাকিতে পারে না অর্থাৎ উক্ত সমাধিকে যোগ বলা যায় না, কারণ উহা বিক্ষেপের উপসর্জন অর্থাৎ বিক্ষেপের দ্বারা সৰ্ব্বতোভাবে পরিব্যাপ্ত। যে সমাধি একাগ্রচিত্তে উৎপন্ন হইয়া সম্ভূত অর্থকে অর্থাৎ যথার্থ বিষয়কে প্রকাশ করে, ক্লেশ সমুদায়কে ক্ষীণ করে, কৰ্ম্মরূপ বন্ধনকে শিথিল করিয়া দেয়, নিরোধ অবস্থাকে অভিমুখ করে অর্থাৎ সাহার পরেই নিরোধ সমাধি হইতে পারে, তাহাকে সম্প্রজ্ঞাত যোগ বলা যায়। ঐ সম্প্রজ্ঞাত সমাধি, বিতর্কামুগত ( সবিতর্ক ), বিচারামুগত (সবিচার ), আনন্দানুগত (সানন্দ ) ও অস্মিতানুগত ( সাম্মিত) এই চারি ভাগে বিভক্ত এ কথা পশ্চাতে বিশেষ রূপে প্রতিপন্ন করা যাইবে চিত্তের সমস্ত বৃত্তি নিরোধ হইলে উহাকে অসম্প্রজ্ঞাত যোগ বলে ॥ ১ ॥ মন্তব্য। অর্থ শব্দে মঙ্গল, আনন্তৰ্য্য, প্রশ্ন প্রভৃতি অনেক বুঝায়, যেমন “অৰ্থাতে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা” এই ব্রহ্মস্থত্রে অর্থ শব্দের অর্থ আনন্তৰ্য্য, কিন্তু এখানে অর্থ শব্দের অর্থ অধিকার অর্থাৎ আরম্ভ। যোগশাস্ত্র আরব্ধ হইল, ইহার পর যত গুলি স্বত্র বলা যাইবে, সমস্তই যোগের প্রতিপাদক, অর্থাৎ কোনও ত্র যোগের কারণ, কোনটী যোগের স্বরূপ, কোনট বা যোগের