পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०२ পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ৩। সূ৩ । ] বিষয়ে বারম্বার সদৃশরূপে বৃত্তি হওয়াকে ধ্যান বলে, অর্থাৎ ধোয় আলম্বন ভিন্ন অন্ত বিষয়ে চিত্তবৃত্তি না হইয়া ধোয়াকারে চিত্তবৃত্তির সদৃশ প্রবাহকে ধ্যান বলা যায় ৷ ২ ৷৷ - মন্তব্য। ধারণার পরিণাম ধ্যান, প্রযত্ন সহকারে বিষয়াস্তর হইতে বিনিবৃত্ত করিয়া ধোয় বিষয়ে চিন্তকে স্থির করার নাম ধারণা, এইরূপে ধোয় বিষয়ে অনায়াসে অর্থাৎ প্রযত্ন ব্যতিরেকে নাপন হইতেই যখন একভাবে বারম্বার চিত্তবৃত্তি হইতে থাকে তাহাকে ধ্যান বলা যায়। যদিচ ধারণা ও ধ্যান সামান্ততঃ নির্দিষ্ট হইয়াছে তথাপি উহাদের কালের বিবরণ শাস্ত্রান্তর হইতে জানিতে হইবে। সমাধিস্থত্রের মন্তব্যে তাহ বলা যাইবে ॥ ২ ॥ সূত্র। তদেবার্থমাত্রনির্ভাসং স্বরূপশূন্তমিব সমাধি ॥৩৷ ব্যাখ্য' । তদেব (পূৰ্ব্বোক্তং ধ্যানমেব ) অর্থমাত্রনির্ভাসং ( ধোয়াকারেণ ভাসমানং ) স্বরূপশূন্তমিব (জ্ঞানস্বরূপেণ বিরহিতমিব ) সমাধিঃ (ধ্যানস্তৈব পরাকাষ্ঠী ইত্যর্থ: ) ॥ ৩ ॥ তাৎপৰ্য্য। ধ্যানের পরিণাম সমাধি, আমি অমুককে চিন্তা করিতেছি এই ভাবটী ধ্যানের অবস্থায় থাকে, সমাধিতে তাহ থাকে না, তখন জ্ঞান কেবল ধ্যেয় বিষয়ের আকারেই ভাসমান হয়, সুতরাং বোধ হয় যেন চিত্তবৃত্তি নাই। চিত্তবৃত্তি থাকিয়াও না থাকার স্তায় বোধ হয়, ইব শব্দ দ্বারা তাহাই বলা रुहेब्रां८छ् ॥ ७ ॥ ভাষ্য। ধ্যানমেব ধ্যেয়াকারনির্ভাসং প্রত্যয়াত্মকেন স্বরূপেণ শূন্তমিব যদা ভবতি ধোয়স্বভাবাবেশাৎ তদা সমাধিরিত্যুচ্যতে ॥৩ ৷ অনুবাদ। ধ্যানই ধোয় অর্থাৎ ধ্যানের বিষয়াকারে ভাসমান হইয়া বিষয়স্বরূপে উপরক্ত হইয়া যখন প্রত্যয়াত্মক অর্থাৎ বৃত্তিস্বরূপ জ্ঞানকে ধেন পরিত্যাগ করিয়াই অবভাসিত হয়, তখন তাহাকে সমাধি বলা যায় ॥৩। মন্তব্য। জপাকুসুমের সন্নিধানে পরিশুদ্ধ স্ফটিকের স্বীয় শুরুগুণ ভাসমান হয় না, তদ্রুপ বিষয়াকারে সর্বথা লীন হইয়া চিত্তবৃত্তি পৃথক্ভাবে অনুভূত হয় না, এই অবস্থাকে সমাধি বলে ।