পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পা ৩। সু ১০ । ] বিভূতি পাদ। ২০৯ অনুবাদ। সৰ্ব্ববৃত্তি নিরোধক্কপ অসম্প্রজ্ঞাত অবস্থায় চিত্তের কিরূপ পরি ণাম হইয়া থাকে ? গুণের (জড়বর্গের) স্বভাব এইরূপ যে তাহারা অপরিণতভাবে ক্ষণকালও থাকিতে পারে না, এই আশঙ্কায় নিরোধকালে চিত্তের পরিণাম বলা যাইতেছে। যদিচ বুখানশব্দে ক্ষিপ্ত, মূঢ় ও বিক্ষিপ্ত এই তিনটা অবস্থা বুঝায় তথাপি এস্থলে অসম্প্রজ্ঞাত যোগ, অপেক্ষা করিয়া সম্প্রজ্ঞাত সমাধিকে (একাগ্রভূমিকে ) বুখান বল হইয়াছে। উক্ত বুখান জন্ত সংস্কারগুলি চিত্তের ধৰ্ম্ম, উহার প্রত্যয়াত্মক ੱਝ অনুভবের ধৰ্ম্ম বা স্বরূপ নহে (সংস্কারের প্রতি অনুভব সমবায়িকারণ নহে, কিন্তু নিমিত্তকারণ), সুতরাং প্রত্যয়ের (চিত্তবৃত্তিরূপ অমুভবের) নিরোধে (অপগমে ) সংস্কারের নিরোধ হয় না, এইরূপ নিরোধ সংস্কারও চিত্তধৰ্ম্ম, এই উভয়বিধ সংস্কারের অভিভব প্রাচুর্ভাব অর্থাৎ বুখান সংস্কারগুলি ক্রমশঃ হীন হওয়ায় নিরোধ সংস্কারগুলি আবির্ভূত হইতে থাকে, নিরোধ অবস্থাপন্ন চিত্ত উভয়স্থলে অম্বিত থাকে, এইরূপে একই চিত্তে প্রতিক্ষণ সংস্কারের আবির্ভাব ও তিরোভাব হওয়াকে নিরোধ পরিণাম বলে। সেই সময় ( নিরোধ সমাধিতে ) চিত্তে কেবল সংস্কারমাত্র থাকে, কোনওরূপ বৃত্তির উদয় হয় না ॥ ৯ ॥ মন্তব্য । অমুভব (চিত্তবৃত্তি) হইলে সংস্কার হয়, নিরোধ অবস্থায় কোনওরূপ চিত্তবৃত্তি হয় না, সুতরাং কিরূপে নিরোধ সংস্কার হইতে পারে, নিরোধ সংস্কার না হইলেও বুখান সংস্কার তিরোহিত্ব হয় না, বিরোধী সংস্কার দ্বারাই সংস্কারের বিনাশ হয়। নিরোধের অনন্তর বুখান হইলে এতকাল সমাহিত ছিলাম, এইরূপে যোগীর স্মরণ হইয়া থাকে, এই স্মরণরূপ কাৰ্য্য দ্বারা নিরোধ সংস্কারের অনুমান করিতে হইবে । সমাধি পাদের শেষ স্বত্র দেখ ॥ ৯ ॥ সূত্র। তস্য প্রশান্তবাহিতা সংস্কারাৎ ॥ ১০ ৷ ব্যাখ্যা। তন্ত (নিরোধাবস্থাপন্নস্ত চিত্তস্ত) প্রশাস্তবাহিতা (বুখানসংস্কারমলরাহিত্যেন নিরোধপরম্পরামাত্রবাহিতা ) সংস্কারাৎ ( নিরোধসংস্কারাদেৰ ভবতি) ॥.১• ॥ - তাৎপৰ্য। নিরোধ সংস্কার দৃঢ়তর হইলে চিত্তের প্রশান্তরূপে অবস্থান অর্থাৎ বুখানসংস্কার দূরীভূত হইয়া স্বচ্ছক্কপে স্থিতি হয়। ১• ॥ " २१ o -