পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পা ৩। সূ ১৭। ] বিভূতি পাদ। २७२ প্রথমতঃ তিন ভাগে বিভক্ত করা হইয়াছে। বাগিন্দ্রিয় অকারাদি বর্ণ বিষয়েই সার্থক হয়, অর্থাৎ প্রসিদ্ধ অ, আ, ক, খ, ইত্যাদি বর্ণমালা বাগিক্রিয় দ্বারা উচ্চারিত হয়। বাগিন্দ্রিয় হইতে উৎপন্ন উক্ত বর্ণমালা অর্থের বাচক নহে, এইট প্রথম শব্দ। দ্বিতীয় শব্দ যথা হৃদয়দেশ হইতে উখিত উদানবায়ু বাগিজিয়ে অভিহত হইয়া বর্ণাকারে শব্দ জন্মায়, উহাই প্রবাহরূপে শ্রোতৃবর্গের কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইয়া অনুভূত হয়, শ্রবণেন্ত্রিয় উক্ত ধ্বনির ( উদান বায়ুর ) পরিণাম শব্দ মাত্র গ্রহণ করে, এটীও অর্থের বাচক নহে। প্রসিদ্ধ নাদগুলিকে ( বর্ণগুলিকে ) প্রত্যেকে গ্রহণ করিয়া উত্তরকালে সেই সকলের একত্ব প্রতীতি হওয়াকে অনুসংহার বুদ্ধি বলে, উহা দ্বারাই পদ গৃহীত হয়, ইহাকেই পদ বা শব্দস্ফোট বলা যায়, এইটা তৃতীয় শব্দ এবং অর্থের বাচক। বর্ণ হইতে অতিরিক্ত তাদৃশ পদস্ফোট স্বীকার না করিলে কেবল বর্ণ হইতেই অর্থবোধ হইতে পারে না যে হেতু বর্ণ সকল এক সময়ে অবস্থান করিতে পারে না, যেমন “নারায়ণ ও শব্দের প্রথমতঃ “না” উচ্চারিত হইয়া দ্বিক্ষণ পর্য্যন্ত থাকে, “রা” উচ্চারণ করিলে “না” থাকেন, এইরূপে তৃতীয়টার উচ্চারণ কালে দ্বিতীয়টা নষ্ট হয়। এই ভাবে কোনরূপেই বর্ণ সকলের সহাবস্থান সম্ভব হয় না ; সুতরাং পরস্পর এক অপরের সাহায্যও করিতে পারে না ; সুতরাং বর্ণ সকল বাচক পদ নহে। কিন্তু বর্ণ সকলের এক একটকে বাচকস্ফোট পদের অভিন্নরূপে গ্ৰহণ করিলে উক্ত দোষ হয় না। সমস্ত বর্ণেরই সমস্ত অর্থ প্রকাশক শক্তি আছে, বিশেষ এই সহকারী অন্ত বর্ণের সম্মিলনে একই বর্ণ যেন ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রতীয়মান হয়, পূৰ্ব্ব বর্ণ উত্তর বর্ণের সহিত ও উত্তর বর্ণ পূৰ্ব্ব বর্ণের সহিত মিলিত হইয়া-একটী বিশেষে অর্থাৎ স্ফোটরূপ বাচকপদে পরিণত হয়, এইরূপে অনেক গুলি বর্ণ ক্রমানুরোধী হইয়া কোনও একটা অর্থ বিশেষের পরিচায়ক হয়, এই অবস্থাকে অর্থাৎ “এই পদ এই অর্থের বাচক” “এই অর্থ এই পদের বাচ্য” এইরূপ নিয়মকে সঙ্কেত বলে, এইরূপে অর্থসঙ্কেত দ্বারা নিয়মিত হইয়াগকার ঔকার ও বিসর্গ এই তিনটী বর্ণ সমস্ত-পদার্থের অভিধান শক্তি রিরহিত হইয়া (পাতঞ্জল মতে সকল বর্ণই সকল অর্থের বাচক ) কেবল সাস্নাদিমান অর্থাৎ গোরূপ ཝ་ཙཱ་ཝ་རྗེ༔ প্রকাশ করে।