পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२५० পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৩। সূ ২৬ । ] পরিতৃপ্ত, শুদ্ধনিবাসগণ সবিচার ধ্যানে রত, সত্যভগণ সানন্দমাত্র ধ্যানে সুখী ও সংজ্ঞাসংজ্ঞিগণ অস্মিতামাত্র ধ্যানে নিরত। ইহারাও ত্ৰৈলোক্য অর্থাৎ ব্ৰহ্মাও মধ্যে বাস করেন। এই সপ্তলোক বলা হইল, সকলকেই ব্ৰহ্মলোক । বলা যাইতে পারে, কারণ ব্ৰহ্মার ( হিরণ্যগর্ভের) লিঙ্গ দেহ দ্বারা সমস্তই পরিব্যাপ্ত। উপরোক্ত সকলেই সম্প্রজ্ঞাত সমাধিতে নিরত। বিদেহ ও প্রকৃতিলয় যোগিগণ অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি দ্বারা সিদ্ধ, তাহারা মোক্ষপদে অবস্থিত, ব্ৰহ্মাও মধ্যে বাস করেন না। স্থত্রের স্বৰ্য্য শব্দের অর্থ স্বৰ্য্যদ্বার স্বযুম্নানাড়ী, তাহাতে সংযম করিয়া যোগিগণ পূৰ্ব্বোক্ত ভুবনজ্ঞান লাভ করেন, কেবল স্বৰ্য্যদ্বার বলিয়া কথা নাই যোগাচাৰ্য্য প্রদর্শিত অন্ত স্থানে সমাধি করিলেও হয়। সমস্ত ভুবনের জ্ঞান না হওয়া পৰ্য্যন্ত সংযম অভ্যাস পরিত্যাগ করিবে না। স্বৰ্য্যদ্বার ও অন্ত বিষয়ে সংযমের বিশেষ এই, স্বৰ্য্যদ্বারে সংযম করিলে সমস্ত ভুবনের জ্ঞান হয়, অন্যত্র সেইটুকুর মাত্র জ্ঞান হয় ॥ ২৬। . মন্তব্য। ভাষে যে ভুবনের বিবরণ প্রদর্শিত হইয়াছে, উহা পুরাণসম্মত, জ্যোতিঃ শাস্ত্রের সহিত উছার ঐক্য হয় না । এই মতে পৃথিবী আচল, অন্তরিক্ষে রাশি চক্রে স্বৰ্য্যাদি গ্ৰহগণ পরিভ্রমণ করিতেছে, পৃথিবীর নিয়ে ' অনন্তদেব কুৰ্ম্ম প্রভৃতি অবস্থান করে, তাহারা নিরালম্বে থাকিয়া ধরা ধারণ করিতেছেন। সপ্ত পাতালের উপরি অধীচি নামক নরকভূমি, তাহার উদ্ধে ভূরাদি সপ্তলোক, ভূলোকের (পৃথিবীর) ঠিক মধ্যস্থানে সুমেরু পৰ্ব্বত, উহ সমস্ত বর্ষেরই উত্তরে স্থিত "সৰ্ব্বেষামেব বর্ষাণাং মেরুরুত্তরতঃ স্থিত:,” ইহার কারণ স্বৰ্য্য স্বমেরুর চতুর্দিকে দক্ষিণাবর্তে ভ্রমণ করে, যেস্থানে প্রথমে হুর্য্যোদয় দৃষ্ট হয় সেইটা পূৰ্ব্বদিক, এই ভাবে যেমন যেমন স্বৰ্য্য ঘুরিয়া আসে, স্বর্ষ্যের প্রথম দৃষ্টি অনুসারে মুমেরুও সেই ভাবে সকল বর্ষের উত্তর হয়, বর্ষগুলি সুমেরুর চারি দিকে অবস্থিত। সুমেরুর যে পার্শ্ব স্বৰ্য্যকিরণে সমুদ্ভাসিত হয়, তাহ দিন, উহার বিপরীত ভাগ রাত্রি। সুমেরুর উপরি ভাগে শূন্তে স্বৰ্য ভ্রমণ করে, তথাপি যেরূপ বৃক্ষের ছায় পড়ে, তদ্রুপ সুমেরুর ছায়া’পড়ার রাজি হয়। অন্তরিক্ষ লোকে (ভূবর্লোকে) ধ্রুবনামক একট স্থির নক্ষত্র আছে, গ্রহনক্ষত্রগণ উহাতে লম্বমানরূপে থাকিরা আপন আপ * কক্ষে ভ্রমণ করে, যেমন কৃষকগণ মেচি কার্টে (মেই কাঠে} রন্ধ রাণির