পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૬૭ পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৩। সু৩৬। ] পুরুষের অন্যতা (ভেদ ) জ্ঞানরূপে পরিণত হয়, তাদৃশ অতিস্বচ্ছ চিত্তসত্ব হইতেও পুরুষ ভিন্ন, কারণ, সত্বগুণ পরিণামী, পুরুষ পরিশুদ্ধ পরিণামবিরহিত, অত্যন্ত বিভিন্ন সেই চিত্তসত্ব ও পুরুষের প্রত্যয়াবিশেষ অর্থাৎ বৃত্তিসারূপ্য বশতঃ মুখহঃখাদির পুরুষে আরোপের নাম ভোগ, ঐ ভোগের কারণ পুরুষ দর্শিত-বিষয় অর্থাৎ চিত্ত সমস্ত বিষয়কে পুরুষের উদেশে দেখায়। চিত্তসত্ব পরার্থ অর্থাৎ পরপুরুষের প্রয়োজন সম্পাদন করে বলিয়া তাহার উক্ত ভোগও পরার্থ, সুতরাং দৃপ্ত ( পুরুষের জ্ঞেয় ), যেটা উক্ত ভোগ ( জন্তজ্ঞান, বৃত্তি, ব্যবসায় ) হইতে পৃথকৃ, কেবল চৈতন্তরূপ পৌরুষেয় জ্ঞান ( অল্পব্যবসায় ), অর্থাৎ শুদ্ধপুরুষস্বরূপের বৈাধ তাহাতে সংযম করিলে পুরুষ-বিষয়ঞ্জান (আত্মসাক্ষাৎকার ) হয়। পুরুষাকারে চিত্তবৃত্তি দ্বারা পরিশুদ্ধপুরুষের বোধ হয় না, কারণ জড়ের (চিত্ত-বৃত্তির ) দ্বারা চৈতন্ত প্রকাশ হয় না, চৈতন্ত দ্বারাই জড়ের প্রকাশ হইয়া থাকে। পুরুষই নিজের অালম্বন প্রত্যয়কে (চিত্তবৃত্তিকে ) প্রকাশ করে, এই নিমিত্তই উক্ত হইয়াছে “বিজ্ঞাত পুরুষকে কোন করণ দ্বারা জানিতে পারে ? এমন কোনও জড়বস্তু নাই যে পুরুষকে প্রকাশ করিতে পারে ॥ ৩৫ ॥ মন্তব্য। এই স্বত্রের গুঢ় মৰ্ম্ম প্রথম পাদে “বৃত্তিসারূপামিতরত্র” ইত্যাদি স্থানে বিশেষরূপে প্রকাশ করা হইয়াছে। পুরুষের জ্ঞান কিরূপে হইতে পারে, আপনার জ্ঞান আপনি হয় না, জ্ঞেয় ও জ্ঞাত এক জন হইতে পারে না, এই প্রশ্নের উত্তর এই, যেমন দর্পণে প্রতিবিম্বিত পুরুষকে পুরুষ নিজেই দেখিতে পায়, তদ্রুপ বুদ্ধিদৰ্পণে প্রতিবিম্বিত পুরুষকে পুরুষ নিজেই দেখিতে পারে। যে ভাবে চিত্তবৃত্তি ঘটপটাদিকে প্রকাশ করে পুরুষকে সে ভাবে পারে না, কারণ জড় দ্বারা চৈতন্তের প্রকাশ হয় না। চিত্তবৃত্তিতে পুরুষের প্রতিবিম্ব হয়, বৃত্তি ত্যাগ করিয়া কেবল শুদ্ধ সেই প্রতিবিশ্বে সংযম করাই পুরুষজ্ঞানের (আত্মসাক্ষাৎকারের) অসাধারণ কারণ ॥৩৫ ৷ সূত্র। ততঃ প্রাতিভঞ্জাবণবেদনাদর্শাস্বাদবার্তা জায়ন্তে॥৩৬ . शाश। ज्डः (পূৰ্ব্বোক্তাৎ স্বার্থসংযমাৎ চিরমভ্যস্তমানং) , গ্রাক্তি "াদি (বুখানকালেহপি প্রতিভাদি শক্তয়ে ভবন্তীত্যর্থ ) ॥৩৬ ॥