পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ প। ৩ । সূ ৩৯। ] বিভূতি পাদ । ३.¢> স্বশরীর হইতে বাহির করিয়া পরকীয় শরীরে প্রবেশ করাইতে পারেন। চিত্ত প্রবেশ করিলে পশ্চাৎ পশ্চাৎ অন্য অন্ত ইন্দ্রিয়গণও অনুগমন করে, অর্থাৎ পরশরীরে প্রবেশ করে, যেমন মধুমক্ষিক দলের প্রধান মক্ষিক উড়িয় গেলে সঙ্গে সঙ্গে অপর মক্ষিক সকলও উড়িয়া যায়, মক্ষিকারাজ যে স্থানে উপবেশন করে অন্ত মক্ষিক সকলও সেইখানে বসে, তদ্রুপ ইন্দ্রিয় সকলও পরশরীরে প্রবেশ কালে চিত্তের অনুগমন করে ॥৩৮ ॥ মন্তব্য। আত্মা ও চিত্ত উভয়ই ব্যাপক ( বিভু ), ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম বশতঃ শরীরবিশেষে আত্মার ভোক্তৃতারূপ ও চিত্তের ভোগ্যতারূপ সম্বন্ধ হয়, ইহাকেই হৃদয়গ্রন্থি বলে, সমাধি বশতঃ ঐ বন্ধনের শিথিলতা হইলে চিত্ত স্বশরীরের দ্যায় পরকীয় মৃত বা জীবিত শরীরে ক্রিয়া করিতে পারে। ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য অমরু রাজার মৃত শরীরে প্রবেশ করিয়া কিছুকাল বিহার করিয়াছিলেন ॥৩৮ ॥ সূত্র। উদানজয়াজ্জলপঙ্ককণ্টকাদিম্বসঙ্গ উৎক্রান্তিশ্চ ॥৩৯ ব্যাখ্যা । উদানজয়াৎ (সংযমেন উদানবায়োর্বশীকারাৎ ) জলপঙ্ককণ্টকাদিশ্বসঙ্গঃ (জলাদিষু অসংশ্লেষঃ ) উৎক্রান্তিশ্চ (উৎক্রমণঞ্চ মরণকালে ভবতি, ইচ্ছামৃত্যুর্ভবতীত্যর্থঃ ) ॥৩৯ ৷ * তাৎপৰ্য্য। সংযম করিয়া উদান বায়ুকে জয় করিতে পারিলে জল, কর্দম ও কণ্টকাদিতে সংস্পর্শ হয় না। ইচ্ছাপূর্বক জীবন ত্যাগ করিতে পারে ॥৩৯ ॥ ভাষ্য। সমস্তেন্দ্রিয়বৃত্তিঃ প্রাণাদিলক্ষণ জীবনম, তস্ত ক্রিয়া পঞ্চতরী, প্রাণো মুখনাসিকাগতিরাহৃদয়বৃত্তিঃ, সমং নয়নাৎ সমানশ্চানাভিবৃত্তি, অপনয়নাদপান আপাদতলবৃত্তি, উন্নয়নাদুদান আশিরোবৃত্তিঃ, ব্যাপী ব্যান ইতি, তেষাং প্রধানঃ প্রাণঃ। উদানজয়াৎ জলপঙ্ককণ্টকাদিৰসঙ্গ, উৎক্রান্তিশ্চ প্রায়ণকালে ভবতি, তাং বশিত্বেন প্রতিপদ্যতে ॥ ৩৯ ॥ - অনুবাদ । ইন্দ্রিয়গণের সামান্তবৃত্তি প্রাণাদিবায়ুপঞ্চক, উহাকে জীবন (জীবনবোনিপ্রবন্ধ) বলে, তাহার ক্রিয়া পাচপ্রকার, মুখ ও নাসিকাম্বে; প্রাণের গতি হয়, হৃদয় পৰ্য্যন্ত উহার সঞ্চার। ভূক্তদ্রব্যের সমতা অর্থাৎ রক্ষী