পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

< Nაs পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৩। সু ৪০ । ] রুধিরাদিরূপে পরিণত করে যে বায়ু তাহাকে সমান বলে, হৃদয় হইতে নাভি পর্য্যন্ত ইহার সঞ্চার। অপনয়ন অর্থাৎ মল-মূত্রাদি নিঃসারণ করে বলিয়া সেই বায়ুকে অপান বলে, নাভি হইতে পদতল পৰ্য্যন্ত ইহার সঞ্চার। যে বায়ুর গতি উদ্ধদিকে তাহাকে উদান বলে, নাসিকার অগ্র হইতে মস্তক পৰ্য্যন্ত ইহার সঞ্চার। সমস্ত শরীর ব্যাপক বায়ুর নাম ব্যান। এই পঞ্চ বায়ুর মধ্যে প্রাণবায়ুই প্রধান। সমাধি দ্বারা উক্ত উদান বায়ুর জয় করিতে পারিলে জল, কর্দম ও কণ্টকাদি তীক্ষু পদার্থে সঙ্গ হয় না, অর্থাৎ জলের উপর দিয়া চলিয়া যাইতে পারে, কৰ্দমের পরে ভ্রমণ করিলে পদে স্পর্শ হয় না, কণ্টকের উপব দিয়া চলিলে রক্তপাত হয় না। মরণসময়ে উৎক্রান্তি হয় অর্থাৎ ইচ্ছানুসারে অচিরাদি পথে গমন করিতে পারে ॥৩৯ ॥ মন্তব্য । ইন্দ্রিয়গণের বৃত্তি দুই প্রকার, একটা বহির্বিষয় প্রকাশ করা, এটা অসাধারণ বৃত্তি, যেমন চক্ষুর রূপ প্রকাশ করা ইত্যাদি, অপরট অন্তরিক্রিয় ও বহিরিক্রিয় উভয়ের সাধারণ ব্যাপার প্রাণাদি পঞ্চ বায়ু অর্থাৎ শরীরের রক্ষা (জীবন ) করা। সাংখ্য পাতঞ্জল মতে আধ্যাত্মিক বায়ুপঞ্চকের পৃথক্ অস্তিতা নাই, উহা ইন্দ্রিয় সাধারণের বৃত্তি মাত্র। অনেকেই প্রত্যক্ষ করিয়াছেন অসংখ্য পেরেক মারা একখানি তক্তার উপর কোন কোন সন্তাসী শয়ন উপবেশন করিয়া থাকেন, অথচ তাহাদের শরীরে চিন্তুমাত্রও হয় না, উহা উক্ত উদানজয়েরই আংশিক ফল । এরূপও শুনা যায় সাধুগণ কাষ্ঠ-পাছক সহকারে নদী পার হইয়া যান, উদান বায়ুব জয় করিলে শরীর লঘু হয়, সুতরাং জলাদিতে স্পর্শ হয় না ॥৩৯ ॥ সূত্র । সমানজয়াজ্জলনম্ ॥ ৪০ ॥ ভাষ্য। জিতসমানস্তেজস উপধ্যানং কৃত্ব জ্বলতি ॥ ৪০ ॥ অনুবাদ । নাভির নিকটবৰ্ত্তী জীঠর অগ্নিকে ব্যাপিয়া সমান নামক যে বায়ু আছে, সংযম দ্বারা উহার জয় করিয়া উত্তেজনা করিতে পারিলে অগ্নিতুল্য তেজস্বী হইতে পারে ॥ ৪০ ॥ মন্তব্য। বাৰ্ত্তিককার বলেম দক্ষযজ্ঞে সতী যেরূপ যোগাগ্নিতে শরীর গাছ করিয়া ছিলেন সিদ্ধযোগী সংযম দ্বারা উক্ত সিদ্ধিলাভ করিয়া নিজশরীর