পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ৩। সু ৪১ ৷ ] বিভূতি পাদ। : ২৬১ দাহ করিতে পারেন। সংযম দ্বারা অগ্নির আবরণ নষ্ট হয়, সুতরাং উৰ্দ্ধদিকে প্ৰজলিত হওয়ায় যোগীর দেহে অগ্নিতুল্য আভা প্রকাশ পায়, ইহাই অনেকের মত ॥ ৪০ ॥ সূত্র। শ্রোত্রাকাশয়োঃ সম্বন্ধসংযমাৎ দিব্যং শ্রোত্রম্॥৪১ ব্যাখ্যা। শ্রোত্রাকাশয়ো সম্বন্ধসংযমাৎ (আধারাধেয়ভাবরূপে গগনশ্রবণয়োঃ সম্বন্ধে সংযমাৎ ) দিব্যং শ্রোত্ৰং (দিবি ভবং দিব্যং অলৌকিকং শ্রোত্ৰং ভবতীত্যর্থঃ ) ॥ ৪১ ॥ তাৎপৰ্য্য। আকাশ আধার (অশ্রয় ), কর্ণ আধেয় ( আশ্রিত) উভয়ের এইরূপ সম্বন্ধে সংযম করিয়া সাক্ষাৎকার করিলে দিব্য শ্রোত্র লাভ হয় ॥ ৪১ ৷ ভাষ্য। সর্বশ্রোত্রাণামাকাশং প্রতিষ্ঠা, সৰ্ব্বশব্দানাঞ্চ, যথোক্তং “তুল্যদেশপ্রবণানামেকদেশশ্রীতিত্বং সৰ্ব্বেষাং ভবতি” ইতি। তচ্চৈতদকাশস্ত লিঙ্গং, অনাবরণং চোক্তম। তথাহমূৰ্ত্তস্তানাবরণদর্শনাদ্বিভুত্বমপি প্রখ্যাতমাকাশস্ত । শব্দগ্ৰহণামুমিতং শ্রোত্ৰং, বধিরাবধিরয়োরেকঃ শব্দং গুহ্বাত্যপরো ন গৃহূর্তেীতি, তস্মাৎ শ্রোত্রমেব শব্দবিষয়ম। শ্রোত্রাকাশয়োঃ সম্বন্ধে কৃতসংযমস্ত যোগিনো দিব্যং শ্রোত্ৰং প্রবর্ততে ॥ ৪১ ৷ অনুবাদ । শ্রোত্রমাত্রের প্রতিষ্ঠা ( আশ্রয় ) আকাশ, সমুদায় শব্দেরও আশ্রয় আকাশ। পঞ্চশিখাচাৰ্য্য এই কথাই বলিয়াছেন “তুল্যদেশ শ্রবণ .অর্থাৎ শব্দের উৎপত্তিস্থানে শ্রোতাদের কর্ণ বৃত্তিপরম্পরায় গমন করিয়া থাকে, উক্ত শ্রোতৃগণের শ্রোত্র সকল আকাশে (কর্ণশঙ্কুলী অবচ্ছিন্ন নভোভাগে ) আশ্রিত। এই শব্দ ও শ্রোত্র ইন্দ্রিয় আকাশের লিঙ্গ অর্থাৎ অনুমাপক, আকাশের আর একটা সুচক অনাবরণ অর্থাৎ অনাবরণ (আবরণের অভাব নহে, একটা ভাবরূপ দ্রব্য ) রূপ আকাশ না থাকিলে পার্থিবাদি দ্রব্য পরস্পর মিলিত ছুইয়া যাইত, মুর্তভ্ৰব্য (পরিচ্ছিন্ন) অনাবরণ হয় না, সুতরাং আকাশ বিভু (সৰ্ব্বত্র বিদ্যমান ) একথাও বলা হইল। শব্দকে গ্রহণ করে বলিয়া শ্রোত্রকে একটা ইঞ্জিয় বলিয়া বুঝিতে হইবে, বধির ও ৰবির নহে ইহাদের