পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬৮, পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৩। সু ৪৪। ] ( কৰ্ম্মধারয় সমাস দ্বারা অভেদ প্রতিপন্ন হইয়াছে)। উক্ত সমূহ প্রকারান্তরে দ্বিবিধ, যুতসিদ্ধাবয়ব ও অযুতসিদ্ধাবয়ব, যে সমূহের অবয়ব (সমূহিগণ) যুক্তসিদ্ধ (পৃথক্ভাবে স্থিত) অর্থাৎ পরস্পর অসংশ্লিষ্টভাবে অবস্থিত, তাহাকে যুতসিদ্ধাবয়ব বলে, যেমন বন, সঙ্ঘ ইত্যাদি। যাহার অবয়ব পৃথক ভাবে থাকে না পরস্পর মিলিত ভাবেই অবস্থান করে, তাহাকে অযুতসিদ্ধাবয়ব বলে, যেমন শরীর বৃক্ষ ও পরমাণু প্রভৃতি। ੋਣੇ। বলেন অযুতসিদ্ধাবয়ব ভেদের অনুগত সমূহই দ্রব্য, অর্থাৎ ঘটপটাদি দ্রব্য বলিলে একটা সমূহ বুঝায়, উহার অবয়ব সকল পরস্পর অসংশ্লিষ্ট নহে, কিন্তু সৰ্ব্বতোভাবে মিলিত। এইট স্বরূপ বলা হইল, সম্প্রতি ভূতগণের স্বক্ষ অবস্থা বলা যাইতেছে, ভূতের কারণ শব্দাদি পঞ্চতন্মাত্রই স্বক্ষ অবস্থা, পরমাণু উহার একট পরিণাম (অবয়ব) বিশেষ, অর্থাৎ পরমাণু বলিলে মূৰ্ত্তি প্রভৃতি সামান্তের ও শব্দাদি বিশেষের সমূহ বুঝায়, উক্ত মূৰ্ত্তি প্রভৃতি ও শব্দাদি অপৃথকৃরূপে অবস্থিত আছে। এইরূপেই সমস্ত তন্মাত্র বুঝিতে হইবে, অর্থাৎ তন্মাত্র হইতে পরমাণুক্রমে স্থল ভৌতিক ঘটাদি জন্মে। এই তন্মাত্রই ভূতগণের তৃতীয় অবস্থা। অনন্তর ভূতগণের চতুর্থরূপ অম্বয় বলা যাইতেছে, গুণত্রয় খ্যাতি, ক্রিয়া ও স্থিতিস্বভাব অর্থাৎ সত্বগুণ খ্যাতি ( প্রকাশ ) স্বভাব, রজোগুণ ক্রিয়া ( প্রবর্তন ) স্বভাব, তমোগুণ স্থিতি অর্থাৎ আবরণস্বভাব, ইহার স্বকীয় কাৰ্য্যে অনুগত, (কারণমাত্রই কাৰ্য্যে অমুগত থাকে, নতুবা কাৰ্য্যের আশ্রয় কে হইবে ? ), অস্বয়শব্দে কাৰ্য্যমাত্রে অনুগামী গুণত্রয়কে বুঝায়। অনন্তর ভূতগণের অর্থবত্বরূপ পঞ্চম অবস্থা বলা যাইতেছে, পুরুষের ভোগ ও অপবর্গ সাধন করাই গুণত্রয়ের স্বভাব, এই গুণত্রয় তন্মাত্র ও পঞ্চভূতে অনুগত আছে, সুতরাং জড়বর্গমাত্রই অর্থবৎ অর্থাৎ পুরুষের উপকরণ স্বরূপ। ইদানীন্তন দৃপ্ত স্থল পঞ্চবিধ পঞ্চভূতে" সংযম করিলে সেই সেই রূপের সাক্ষাৎকার ও বশীকার জন্মে, সংযম দ্বারা ভূতগণের পঞ্চবিধস্বরূপ বশীভূত করিলে যোগী ভূতজয়ী বলিয়া অভিহিত হয়েন। গাভীগণ যেমন বৎসগণের অনুগমন করে, যেদিকে বৎস যায় গাভীও সেই দিকে ধায়, তস্ক্রপ ভূতপ্রকৃতি ( পঞ্চভূত) উক্ত সিদ্ধ যোগীর সঙ্কল্পের অনুসরণ করে, । যোগীর ইচ্ছামত ভূত-ভৌতিক পরিণাম হয়। ৪৪ ৷ মন্তব্য। আকারে গৌরবং রেীষ্মং বরণং স্বৈর্যামেবচ। বৃত্তির্ভেদ ক্ষম