পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

] পাতঞ্জল দর্শন। ( পা ৩। সূ ৫১। هسواد ভোগে আসক্তি ত্যাগ করিয়া বিস্ময়কেও ( আমি কত বড় লোক, দেবগণও আমাকে সাধ্যসাধনা করিতেছেন, এইরূপ আত্মাভিমানকেও) ত্যাগ করিবে, কারণ ঐ ভাবে বিস্ময় হইলে তাহাতে সুস্থিতমনা অর্থাৎ যথেষ্ট হইয়াছে এরূপ বোধ হওয়ায় আর সমাধির অনুষ্ঠান করে না, যমরাজ যে তাহার কেশাকর্ষণ করিয়াছে তাহ জানিতে পারে না, তখন, ছিদ্রান্বেষী, সৰ্ব্বদা প্রযত্নসহকারে প্রতীকার করিতে হয় এমত প্রমাদু (আসক্তি ) অবকাশ লাভ করিয়া অবিদ্যাদি ক্লেশ সকলকে উদ্দীপিত করে, তখন পুনৰ্ব্বার অনিষ্ঠের সম্ভাবনা অর্থাৎ সংসারে পতন অবশুম্ভাবী। এইরূপে সঙ্গ ও স্ময় করেন না এরূপ যোগীর লব্ধ বিষয় ( সিদ্ধি) স্থির থাকে, এবং যাহা ভাবনীয় অর্থাৎ সিদ্ধি করিতে হইবে উক্ত যোগীর তাহা সন্মুখীন হয় ॥ ৫১ ॥ মন্তব্য। যোগের প্রারম্ভ হইতে কৈবল্য পৰ্য্যন্ত অবস্থাকে শাস্ত্রকারগণ চারিভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। উহার প্রথম অবস্থায় দেবগণের সাক্ষাৎকারের সম্ভাবনা নাই, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থাপন্ন যোগিগণ দেবগণ অপেক্ষা উন্নত, সুতরাং দেবগণ র্তাহীদের প্রলোভন দেখাইতে সমর্থ নহেন, পরিশেষে দ্বিতীয় অবস্থা, যাহাতে সিদ্ধির অঙ্কুর দেখা দিয়াছে, অথচ চিত্ত দৃঢ় নহে, সহজেই টলিতে পারে, এমত অবস্থায় প্রলোভনে মুগ্ধ হওয়া অসম্ভব নহে। দেবগণের লোভ প্রদর্শন করিবার কারণ, তাহাদের অধিকার কঁড়িয়া লইবে এই ভয়, আর এক কারণ এই, মানবগণ চিরকাল সংসারে বদ্ধ থাকিয়া যাগ যজ্ঞ দ্বারা প্রতি উৎপাদন করুক ইহাই দেবগণের ইচ্ছা, মনুষ্যগণ মুক্তির পথে পথিক হইবে, ইহা দেবগণ দেখিতে পারেন না, এ বিষয় বৃহদারণ্যক উপনিষদের প্রথমে বর্ণিত আছে। উন্নত জীব নিম্ন শ্রেণির উন্নতি দেখিতে পারে না, ইহা স্বতঃসিদ্ধ। o দেবগণ মনুষ্যের সাধ্যসাধনা করেন একথা আপাততঃ আশ্চৰ্য্য বোধ হইতে পারে, বিষয় লম্পট আসক্ত জীবের পক্ষে দেবপদ অতি উৎকৃষ্ট বোধ হইতে পারে, কিন্তু বিরক্ত যোগীর পক্ষে দেবপদ নিকৃষ্ট বই উৎকৃষ্ট নহে, বিশেষতঃ তাপস ব্রাহ্মণ দেবগণের অপেক্ষা উন্নত একথা পুরাণের অধিকাংশ স্থলে দেখা যায়। ভাষ্মকার দ্বিতীয় যোগীকে ব্রাহ্মণ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, এ ব্রাহ্মণ তপস্বী, ব্ৰহ্মতেজে বলীয়ান, কলির ব্রাহ্মণ নহে। এক ভৃগু মুনির বৃত্তান্ত জানিলেই ব্ৰাহ্মণের কতদূর গৌরব তাহ জানিতে পারা যায়, উক্ত মুনিৰর বিষ্ণুর