পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

] পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৩। সু ৫৪ । • سياسbج উহা হইতে যে স্বভাবতঃ জ্ঞান জন্মে তাহাকে তারকজান বলে, উহা অনৌপদৈশিক অর্থাৎ উপদেশ (শব্দ প্রয়োগ ) ব্যতিরেকেই জন্মে, সমস্ত পদার্থই ইহার বিষয়, জগতে এমত কোনও বস্তু নাই যাহা ইহার গোচর না হয়, এই জ্ঞান সৰ্ব্বথা বিষয়, অর্থাৎ ভূত ভবিষ্যৎ ও বর্তমান সমস্ত পদার্থই অবাস্তর বিশেষের সহিত এই জ্ঞানের বিষয় হয়, এই জ্ঞান আক্রম অর্থাৎ যুগপৎ সমস্ত বিষয় গ্রহণ করে; এটা গুহণকরিয়া উট গ্রহণ করা এরূপে নহে, একদাই সকল পদার্থ বিষয় করে, বিবেকজ জ্ঞান পরিপূর্ণ অর্থাৎ কোনও স্থলে, কোনও বস্তু, কোনওরূপে, কোনও কালে ইহার অগোচর হয় না, (অন্তজ্ঞানের কথা দূরে থাকুক ) সম্প্রজ্ঞাতযোগ প্রদীপও এই জ্ঞানস্থৰ্য্যের একটী অংশমাত্র । “স্থানু্যপনিমন্ত্রনে” ইত্যাদি স্থত্রে বর্ণিত ঋতম্ভরাপ্রজ্ঞা নামক মধুভূমিকরূপ দ্বিতীয় ভূমিই মধুমতী ভূমি, উহাকে আরম্ভ করিয়া সপ্তধা প্রান্তভূমি প্রজ্ঞা নামক পরিসমাপ্তি এই আদ্যোপান্ত সম্প্রজ্ঞাতযোগ স্বত্রলিখিত তারকত্তানের অংশ বলিয়া ইহাকে তারকজান বলা হইয়াছে ॥ ৫৪ ৷ মন্তব্য। তারকজান অনৌপদৈশিক, ইহা শব্দ দ্বারা জন্মিতে পারে না, কারণ শব্দ পরোক্ষভাবে সামান্তরূপেই পদার্থের জ্ঞান জন্মায়, তারকত্তান প্রত্যক্ষরূপে বিশেষভাবে সমস্ত পদার্থের প্রকাশ করে, অতএব উহা শব্দ হইতে উৎপন্ন হয় না। পূৰ্ব্বে অনেক স্থানে সংযমবলে সৰ্ব্বজ্ঞতার কথা বলা হইয়াছে, পুনৰ্ব্বার এখানে বিবেকজ জ্ঞানকেও সৰ্ব্ব বিষয় বলা হইল, ইহাতে পুনরুক্তি হইয়াছে বোধ হয়, তাহ হয় নাই, কারণ, সৰ্ব্বশ প্রকার ও অশেষ অর্থে ব্যবহৃত, হইয়া থাকে, বিবেকজ জ্ঞানই সৰ্ব্ব বিষয় অর্থাৎ অশেষ বিষয়ক, ইহার অবিষয় কিছুই নাই। পূৰ্ব্বোক্ত সৰ্ব্বশব্দ এইরূপে প্রযুক্ত হইয়াছে, “সমস্ত ব্যঞ্জন দ্বারা আহার করা হইয়াছে” বলিলে পাকশালায় যত প্রকার ব্যঞ্জন প্রস্তুত ছিল তাহার প্রত্যেকের কতক অংশ দ্বারাই ভোজন হইয়াছে এরূপ বুঝায়। “সমস্ত ব্ৰাহ্মণ ভোজন করান হইয়াছে’ বলিলে যতগুলি নিমন্ত্রিত সকলেই ভোজন করিয়াছে এইরূপ বোধ হয়, সংসারের সমস্ত ব্রাহ্মণ বুঝায় না, পূৰ্ব্বে পূৰ্ব্বে উক্ত সৰ্ব্বশত্বেও ঐরূপ প্রকার বিশেষ বুঝিতে হইবে। পত্রিস্থ সৰ্ব্ব ব্যঞ্জন