পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిరి পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৪। সূ ২৩ ৷ ] ( প্রচ্ছন্নভাবে অবস্থিত) আছে পণ্ডিতগণ উহাকে অবিশিষ্ট অর্থাৎ পুরুষের অভিন্নরূপে ভাসমান বুদ্ধিবৃত্তি বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন, উহা পাতাল, পৰ্ব্বতের বিবর (গুহা), অন্ধকার স্থান বা সমুদ্রের মধ্য ইহার কিছুই নহে ॥২২ মন্তব্য । যদি চিত্ত স্বপ্রকাশ না হয়, অথবা অন্ত চিত্তের প্রকাশু না হয়, তবে পুরুষের দ্বারাই বা কিরূপে প্রকাগু হইবে, কারণ স্বপ্রকাশ আত্মার কোনও ক্রিয়া নাই, ক্রিয়া না থাকিলে কৰ্ত্ত হইতে পারে না, চিত্তরূপ কৰ্ম্মের সহিত সম্বদ্ধ না হইয়াই বা কিরূপে চিত্তের ভোক্ত হইবে, এইরূপ আশঙ্কার স্বচনা করিবার নিমিত্ত ভাস্থ্যে “কথং” এইরূপ আভাস দেওয়া হইয়াছে। উক্ত আশঙ্কার সমাধানরূপ এই স্থত্রের তাৎপৰ্য্য “বৃত্তিসারূপামিতরত্র” স্বত্রে বর্ণিত হইয়াছে। চিত্তবৃত্তির বোধ সম্বন্ধে বাচস্পতি ও বিজ্ঞান ভিক্ষুর সম্পূর্ণ মতভেদ আছে, বাচস্পতি বলেন, যেমন জলে স্বৰ্য্যের প্রতিবিম্ব পড়িলে, ঐ জলে ঢেউ উঠিলে প্রতিবিম্ব স্বৰ্য্য কম্পিত হয়, উহা দেখিয়া অজ্ঞলোকে মনে করে প্রকৃত স্বৰ্য্যই কাপিতেছে, তদ্রুপ চিত্তবৃত্তিতে পুরুষ প্রতিবিম্বিত হয়, উহাতে প্রতিবিম্বিত পুরুষে চিন্তধৰ্ম্মের আরোপ হয়, ইহাতেই অবিবেকিগণ মনে করে প্রকৃত পুরুষেরই ভোগ হইতেছে, বাস্তবিক পক্ষে যথার্থ পুরুষের ভোগ নাই, উহা চিত্তেরই ধৰ্ম্ম । বিজ্ঞান ভিক্ষু বলেন, যেমন চিত্তবৃত্তিতে পুরুষের প্রতিবিম্ব পড়ে, তদ্রুপ পুরুষেও চিত্তবৃত্তির প্রতিবিম্ব পড়ে, , ইহাকেই ভোগ বা সাক্ষাৎকার বলে ॥ ২২ ॥ । ভাষ্য। অতশ্চৈতদভুপিগম্যতে । সূত্র। দ্রষ্ট দৃশ্বোপরক্তং চিত্তং সৰ্ব্বার্থম্ ॥ ২৩ ॥ ব্যাখ্যা। দ্রষ্টুখোপরক্তং (দ্রষ্ট পুরুষ, দৃষ্ঠানি শব্দাদীনি ইন্দ্রিয়াণি চ, তদুপরক্তং সম্বন্ধং) চিত্তং সৰ্ব্বাৰ্থং (সৰ্ব্বে গৃহীত্বগ্রহণগ্রাহ অর্থ যন্ত তৎ, চিত্তং তাদৃশং ভবতি) ॥ ২৩ ৷ . o তাৎপর্ঘ্য । চিত্ত দ্রষ্টা পুরুষ ও দৃপ্ত শব্দাদি ও ইঞ্জিয়ের সহিত সম্বন্ধ হইয়া সকল বিষয়ের অবভাসক হয় ॥ ২৩ ॥