পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Վ)8Ն পাতঞ্জল দর্শন। ( পা ৪। সু ৩৩ । ] আর জন্মিবে না, অন্ত সকলেই জন্মিবে। এইরূপ মনুষ্য-জন্ম শুভ কি অশুভ, এরূপ প্রশ্ন হইলে বিভাগ করিয়া উত্তর দেওয়া যায়, পশুজন্ম অপেক্ষা করিয়া মনুষ্য জন্ম শুভ, দেব ও ঋষিদের অপেক্ষা করিয়া শুভ নহে। এই সংসারের শেষ আছে কি না ? এ কথার উত্তর হয় না, তবে এইটুকু বলা যায় তত্বদশী কুশল ব্যক্তির পক্ষে সংসারক্রম সমাপ্ত হয়, অপরের নহে, এই ভাবে অন্ততরের নিশ্চয় করিলে দোষ হয়.না, অতএব বিভাগ করিয়া উক্ত প্রশ্নের উত্তর করিতে झञ्झ ॥ ७७ ॥ : মন্তব্য । তত্বজ্ঞান জন্মিলে মুক্তি হয়, মুক্ত পুরুষের আর জন্ম হয় না, এইরূপে ক্রমশঃ যদি সকল জীবই মুক্ত হইয়া যায় তবে সংসার থাকে না. কারণ জীবের অদৃষ্ট বশতঃই স্বষ্টি হয় ও স্বষ্ট বস্তুর স্থিতি হয়। আর যদি তত্বজ্ঞান লাভ করিয়াও মুক্তি না হয় তবে “তরতি শোকমাত্মবিৎ” “ব্রহ্মবেদ ব্রহ্মৈব ভবতি” ইত্যাদি শ্রুতি সকলের প্রামাণ্য থাকে না। এদিকে নুতন জীব জন্মে না, কালের অবধি নাই, সুতরাং সংসারের উচ্ছেদ অবগুস্তাবী, আমদানী না থাকিয়া ক্রমশঃ রপ্তানী থাকিলে ভাণ্ডার আর কতদিন থাকে, শাস্ত্রকারগণ এস্থলে জীব অনন্ত বলিয়া সরিয়া পড়িয়াছেন, কিন্তু অনন্ত হইলেও যখন নুতন জন্মিবে না, অথচ আত্মজ্ঞান দ্বারা একটা করিয়া কমিয়া যাইবে তখন কেনই বা সংসারের উচ্ছেদ না হইবে, ফল কথা নিৰ্ব্বাণমুক্তি অতীব দুর্লভ, “শুকোমুক্তঃ প্ৰহলাদে বা ” উহা কাহারও ঘটিয়াছে কি না সংশয়স্থল, সাযুজ্য, সালোক্য, সারূপ্য ও সাষ্টি প্রভৃতি আপেক্ষিক মুক্তি অসম্ভব নহে, তাহাতে পুনরাবৃত্তি আছে। ন স পুনরাবৰ্ত্ততে” এই অপুনরাবৃত্তি মুক্তি কোনও কালে কাহারও হইবে সেভাবে একটা করিয়া কমিয়া অনন্ত জীব শেষ হইয়া সংসারের সমূল বিনাশ মহাপ্রলয় হইবে ইহা কেবল মনোরথ মাত্র । উক্তবিধ সংসারোচ্ছেদই বাস্তবিক মহাপ্রলয়, নৈয়ায়িকগণ উহাকে “জন্তভাবানবিকরণকাল” বলেন, উহাতে অদৃষ্টমাত্রের বিনাশ হয়, সুতরাং আর স্বষ্টির সম্ভাবনা থাকে না, সাধারণতঃ “জন্তদ্রব্যানধিকরণকাল”কে প্ৰলয় বলা হয় উহাতে স্বষ্টির সম্ভাবনা আছে, কারণ, অদৃষ্ট দ্রব্য নহুে, উহ গুণপদার্থ, ওষ্ট্রঞ্চ-প্রলয়ে অদৃষ্ট থাকিয়া যায় সুতরাং পুনৰ্ব্বার স্বাক্টর বাধা | סאסי ון }ה a H