পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[পী ৪ । সূ ৩৪ ৷ ] কৈবল্য পাদ । , 98ጎ ভাষ্য । গুণাধিকারক্রমসমাপ্তে কৈবল্যমুক্তং তৎস্বরূপমবধাৰ্য্যতে । সূত্র । পুরুষাৰ্থশূন্যানাং গুণানাং প্রতিপ্রসবঃ কৈবল্যং স্বরূপপ্রতিষ্ঠা বা চিতিশক্তিরিতি ॥ ৩৪ ॥ ব্যাখ্যা । পুরুষাৰ্থশূন্তানাং (ভোগাপবৰ্গরহিতানা) গুণানাং কাৰ্য্যকারণোভয়রূপাণাং সত্বাদীনাং ) প্রতিপ্রসবঃ ( এতিসর্গঃ প্রলয়ঃ প্রতিলোমপরিণামেন প্রকৃতিরূপতয়াহবস্থানং ) কৈবল্যং (মুক্তি: ) বা (অথবা পক্ষান্তরে) স্বরূপপ্রতিষ্ঠা ( বৃত্তিসারূপ্যাভাবাৎ স্বেনৈবরূপেণ অবস্থিত) চিতিশক্তিঃ কৈবল্যং (পুরুষন্তমুক্তিরিতার্থ,) ইতি ( গ্রন্থপরিসমাপ্তিস্থচকঃ ) ॥ ৩৪ ৷ তাৎপৰ্য্য । যে পুরুষের তত্বজ্ঞান জন্মিয়াছে তাহার প্রতি বুদ্ধি প্রভৃতি গুণ সকল আর ভোগ বা অপবর্গ জন্মায় না, ইহাকেই গুণত্রয়ের মুক্তি বলে, অথবা পুরুষের স্বরূপে অবস্থানকে মুক্তি বলা যায় ॥ ৩৪ ৷ ভাৰ্য্য। কৃতভোগাপবৰ্গাণাং পুরুষাৰ্থশূন্যানাং যঃ প্রতিপ্রসরঃ কাৰ্য্যকারণাত্মনাং গুণীনাং তৎকৈবল্যং স্বরূপপ্রতিষ্ঠা পুনর্বুদ্ধসত্বাইনভিসম্বন্ধাৎ পুরুষস্য চিতিশক্তিরেব কেবল, তস্তাঃ সদা তথৈবাহুবস্থানং কৈবল্যমিতি ॥ ৩৪ ॥ • অনুবাদ ৷ গুণের অধিকার শেষ হইলে মুক্তি হয় বলা হইয়াছে, ঐ মুক্তির স্বরূপ কি তাহ বলা যাইতেছে। শব্দাদি বিষয়ের অনুভবরূপ ভোগ ও অপবর্গ (মুক্তি) সম্পন্ন করিয়াছে অতএব পুরুষাৰ্থ বিরহিত কাৰ্য্য (বুদ্ধ্যাদি) ও কারণ (মূল প্রকৃতি, গুণত্রয়) স্বরূপ গুণত্রয়ের যে প্রতি প্রসব অর্থাৎ প্রতিলোমে প্রলয়, প্রকৃতিরূপে অবস্থান তাহাকে কৈবল্য (কেবলের ধৰ্ম্ম ) অর্থাৎ মুক্তি বলে। গুণত্রয়ের এই ধৰ্ম্মকে পুরুষে আরোপ করিয়া পুরুষের কৈবল্য এইরূপ বলা যায়, এটা ঔপচারিক মুক্তি। অথবা পুরুষের স্বরূপে অবস্থান অর্থাৎ বুদ্ধিবৃত্তির প্রতিবিম্ব গ্রহণ না হওয়ায় নিজ স্বচ্ছভাবে অবস্থানকে কৈবল্য বলে, এই কৈবল্য আরোপিত নহে, উহা পুরুষের স্বভাব। স্বত্রের ইতি শব্দ গ্রন্থের পরিসমাপ্তির স্বচক ॥ ৩৪ ৷ -