পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ পা ১ । সু৯ ] সমাধি পাদ । ’ অন্ধতামিস্ৰ নামে অভিহিত হয়। চিত্তমল নিৰূপণ প্রস্তাবে (সাধন পাদে ৫–৯ স্বত্রে) ইহাদিগকে বিশেষ রূপে বলা যাইবে। মন্তব্য। এক বস্তুকে অন্তরূপে জানার নাম বিপৰ্য্যয় বা ভ্ৰমজ্ঞান, যেমন রজ্জ্বতে সর্পজ্ঞান, গুক্তিতে রজতজ্ঞান ইত্যাদি। প্রথমতঃ গুক্তিরজত প্রভৃতি ভ্রমজ্ঞান জন্মে, পরিশেষে “এটা রজত নয় কিন্তু শুক্তি (বিষ্ণুক )” এইরূপ যথার্থ জ্ঞান জন্মিলে পূৰ্ব্বজ্ঞান বাধিত হয়। প্রথমে হইয়াছে বলিষ পূৰ্ব্ব (ভ্রম ) জ্ঞান প্রবল এবং পরে হইয়াছে বলিয়া উত্তর (যথার্থ) জ্ঞান দুৰ্ব্বল অতএব উত্তরজ্ঞান দ্বাবা পূৰ্ব্বজ্ঞান বাধিত হইবে না এরূপ আশঙ্কা করা উচিত নহে। পুৰ্ব্বাপব বলিয়া জ্ঞানের সবল দুৰ্ব্বলভাব হয় না ; যে জ্ঞানেব বিষয় বাধিত ( নাই বলিয়া বিবেচিত ) তাহাকেই ছৰ্ব্বল এবং যাহাব বিষয় বাধিত নহে তাহকে প্রবল বলা যায় ; সুতরাং অবাধিত বিষয় উত্তরজ্ঞান বাপিত বিষয় পূৰ্ব্বজ্ঞান হইতে প্রবল। যে স্থলে পূৰ্ব্বজ্ঞানকে অপেক্ষা করিয়া উত্তরজ্ঞান জন্মে, সেখানে পূৰ্ব্বজ্ঞানেব বাধা জন্মাইতে উত্তরঞ্জানের সংকোচ হইতে পারে। এ স্থলে কেহ কাহারও অপেক্ষ রাখে না। স্বতন্ত্রভাবে আপন আপন কারণ হইতে জ্ঞানদ্বয় জন্মিয়া থাকে, অতএব সত্যজ্ঞান ভ্রমজ্ঞানের বাধা করিতে পারে । “এটা ইহা কি না ?” ইত্যাদি সংশয়জ্ঞানও বিপৰ্য্যয়েব অন্তর্গত। বিপৰ্য্যয় ও স শযেব প্রভেদ এই, বিপৰ্য্যয় স্থলে বিচার করিয়া পদার্থের অন্যথাভাব প্রতীতি হয়, জ্ঞানকালে হয় না। সংশয় স্থলে জ্ঞানকালেই পদার্থের অস্থিবতা প্রতীত হয় অর্থাৎ সংশয় স্তলে পদার্থ সকল “এটা এইরূপক” এরূপভাবে নিশ্চিত হয় না। ভ্রমস্থলে বিপরীত রূপে একটা নিশ্চয় হইয়া যায়, উত্তরকালে “উট ওরূপ নহে” এইরূপে বাধিত হয়। অবিদ্যা প্রভৃতির সংজ্ঞা বিষ্ণুপুবাণে উক্ত আছে, তমো মোহো মহামোহস্তামিস্রম্বন্ধসংজ্ঞকঃ । অবিদ্যা পঞ্চ পৰ্ব্বৈষা প্রাচুভূত মহাত্মন ইতি। ইহাদের অবাস্তবভেদ সাংখাকারিকায় উক্ত আছে, যথা, ভেদন্তমসোহষ্টবিধে মোহত চ দশবিধো মহামোহঃ । তামিস্ৰোইষ্টাদশধ তথা ভবত্যন্ধতামিস্রঃ ইতি ॥ ৮el সূত্র। শব্দজ্ঞানামুপাতী বস্তুশূন্যে বিকল্পঃ ॥ ৯ ॥ ব্যাখ্যা । শবজ্ঞানানুপাতী (শব্দশ জ্ঞানঞ্চ শব্দজ্ঞানে, শঙ্কজনিতং জ্ঞানং