পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

/ পা ১ / সু ১৫ // সমাধি পাদ / ! , 19:సి প্রভৃতি চেতন ও অচেতন দ্বিবিধ ঐহিক বিষয়ে, স্বর্গে (“যর দুঃখেন সম্ভিরং নচ গ্রস্তমনন্তরং । অভিলাষোপনীতঞ্চ তৎ মুখং স্বঃ পদাস্পদম্”। দুঃখ অসংমিশ্রিত সুখবিশেষে) দেহরহিত ইন্দ্রিয়ে লয়রূপে এবং প্রকৃতিতে লয় পাওয়া রূপ মুক্তিবিশেষে বেদবোধিত এই সমস্ত বিষয়ে তৃষ্ণারহিত চিত্তের দিব্য ও অদিব্য অর্থাৎ অলৌকিক ও লৌকিক সুখকর বিষয় সকল উপস্থিত হইলেও অর্জন, রক্ষণ, ক্ষয় প্রভৃতি বিষয়দোষ দর্শন করায় অনাভোগাত্মিক হান উপাদান শূন্তা উপেক্ষ বুদ্ধিরূপ বশীকারসংজ্ঞাকে বৈরাগ্য বরে। ইহার কারণ প্রসংখ্যান,অৰ্থাৎ সৰ্ব্বদা বিষয়ের দুঃখরূপতা চিন্তা করিতে করিতে দোষের প্রত্যক্ষ করা ॥ ১৫ ॥ • মন্তব্য। উল্লিখিত বৈরাগাকে অপর বৈরাগ্য বলে, ইহা চারি প্রকার ; যতমানসংজ্ঞা, ব্যতিরেকসংজ্ঞা, একেন্দ্রিয়সংজ্ঞা ও বশীকারসংজ্ঞা । রাগ দ্বেষ প্রভৃতি চিত্তের মল দ্বারা ইন্দ্রিয়গণ বিষয়ে ধাবিত হয়, যাহাতে উক্ত রাগ প্রভৃতি দ্বারা ইন্দ্রিয়গণ বিষয়ে পরিচালিত না হয় এমত উপায় অবলম্বনে যত্নশীল হওয়াকে যতমানসংজ্ঞা বলে, এইটা বৈরাগ্যের প্রথম ভূমিকা। অনন্তর দেখিতে হইবে কোন কোন বিষয় হইতে ইন্দ্রিয় নিবৃত্তি হইয়াছে, কোন কোনটাই বা অবশিষ্ট আছে, ইহা পৃথকৃরূপে অবধারণ করাকে ব্যতিরেক সংজ্ঞা বলে। বহিরিন্দ্রিয়গণ বিষয় হইতে নিবৃত্ত হইলেও ঔৎসুক্য সহকারে মনে মনে বিষয় চিন্তার নাম একেন্দ্রিয়সংজ্ঞা অর্থাৎ চিত্তরূপ কেবল একটা ইক্রিয়ে বিষয়ের অবস্থান, পরিশেষে এই ঔৎসুক্যেরও নিবৃত্তি হইলে বশীকারসংজ্ঞা হয়। দরিদ্রগণের চিরকালই বিষয়বৈরাগ্য হইয়া থাকে, কিন্তু, ভোগ্য বস্তুর লাভ হইলে আর বৈরাগ্য থাকে না, ইহা সকলেরই বিদিত আছে। অভাববশতঃ বৈরাগ্য কোন কাৰ্য্যেরই নহে, তাই ভাষ্যকার বলিয়াছেন, “দিব্যাদিব্যবিষয়সংযোগেইপি” । না পাইয়া অথবা লজ্জা ভয়ের খাতিরে মনে মনে দগ্ধ হওয়া অপেক্ষা প্রকাশুে ভোগ করা সহস্ৰগুণে উত্তম, তাহা হইলে কোনও কালে ভাল হইবার সম্ভাবনা থাকে, চক্রের পরিবর্তন হইয়া কখনও সৎবৃত্তির উদয় হইতে পারে। এরূপ অনেক ভোগী পুরুষ দেখা যায়, যাহারা প্রথমতঃ ঘোর ছত্তি থাকিয়াও পরিণামে অকৃত্ৰিম ভক্ত হইয়াছে, জগাই মধাই ইহার প্রসিদ্ধ উদাহরণ। যাহারা সমাজের ভয় না করিয়া ইচ্ছানুরূপ ভোগমুখে ক্ষত থাকে, র্তাহাদের হৃদয়ে বল আছে, সৎপথে আসিলে সেদিকেও উন্নতি লাভ করিতে